তৃণমূল নেতা অশোক সাউয়ের (বাঁ দিকে) হত্যাকাণ্ডে ধৃতদের আনা হল ব্যারাকপুর কমিশনারেটে (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
ভাটপাড়ার তৃণমূল নেতা অশোক সাউয়ের খুনের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন সুজল প্রসাদ। অশোকের পরিবারের দাবি, খুনের ঘটনায় ‘মূল ষড়যন্ত্রকারী’ তিনি। সূত্রের খবর, ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত আকাশ প্রসাদের ভাই ধৃত সুজল। দাদার খুনের ‘বদলা’ নিতেই অশোককে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, আকাশ-খুনে অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন অশোক।
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া জানান, ঘটনার পরই সুজল এবং সানি বিহারে পালিয়ে গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশের একটি দল। তার পরই তাঁরা দু’জন আবার ফিরে আসে এ রাজ্যে। পালানোর চেষ্টা করার সময় বর্ধমান থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া থানা এলাকায় চায়ের দোকানে খুন হন অশোক। অভিযোগ, সকালে তিনি যখন ওই চায়ের দোকানে বসে অন্যদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন কয়েক জন দুষ্কৃতী সেখানে আসে। তার পর অশোককে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। চায়ের দোকানের বাইরে বোমাবাজিও করে তারা। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। পরে মৃত্যু হয় অশোকের।
ভাটপাড়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি অশোকের হত্যাকাণ্ডের পর উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার। তিনি জানিয়েছিলেন, এর আগেও অশোকের উপর হামলা চালানো হয়েছিল। ২০২৩ সালে সেই হামলার পর প্রাণে বেঁচে যান অশোক।
অশোকের খুনের পর থানায় বেশ কয়েক জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছিল তাঁর পরিবার। অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। এর আগে এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছিলেন তদন্তকারীরা। সোমবার সুজল-সহ দু’জনের গ্রেফতারের পর ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল চার। ধৃতদের ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে নিয়ে আসা হয়েছে বলে খবর। সুজলদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। সেই আগ্নেয়াস্ত্রই খুনে ব্যবহৃত হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy