কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী ও রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুই সরকারের বিরুদ্ধেই গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে শেষ পর্যন্ত পথে নামছে আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা, প্রসেনজিৎ বসুদের ‘গণমঞ্চ’। তাদের মতে, রাজ্যে তৃণমূলের অপশাসনের ফলে মানুষের মধ্যে বিরক্তি বাড়ছে। অথচ বামফ্রন্ট আন্দোলনের পথে গিয়ে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে পারছে না। কেন্দ্রের জনবিরোধী অর্থনীতিও দু’মাসের মধ্যে অশনি সঙ্কেত দিচ্ছে। তাই সেপ্টেম্বরেই কলকাতায় প্রতিবাদ মিছিল করছে ‘গণমঞ্চ’। রেজ্জাক, প্রসেনজিতেরা সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হয়ে মঞ্চ গড়ার পরে এটাই হবে প্রথম পথে নামার কর্মসূচি।
বাগবাজারের ফণিভূষণ মঞ্চে বৃহস্পতিবার কনভেনশন আয়োজন করে রেজ্জাক, প্রসেনজিতেরা বুঝিয়ে দিয়েছেন, ঘরে বসে বিতর্কের দিন শেষ। মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষা, গণতন্ত্র বাঁচানো এবং ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য লড়াই এই তিন লড়াই তাঁরা পথে নেমে একসঙ্গেই লড়তে চান। দাবির ক্ষেত্রে সিপিএম বা বামফ্রন্টের সঙ্গে রেজ্জাকদের এই মঞ্চের তফাত নেই। তবে রেজ্জাক, প্রসেনজিৎ বা এ দিনের কনভেনশনে অংশগ্রহণকারী মঙ্গতরাম পাসলার মতো বিক্ষুব্ধ, সিপিএম-ত্যাগী নেতা এবং সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন-সহ একাধিক নকশালপন্থী সংগঠনের প্রতিনিধিদের যুক্তি, কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে বামফ্রন্ট ব্যর্থ। তারা ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার নামে কখনও মুলায়ম সিংহ যাদব, কখনও লালুপ্রসাদ যাদব, আবার কখনও কংগ্রেসের হাত ধরতে যাচ্ছে। বামেদের এই আপসকামী মনোভাবের জন্যই মানুষ তাদের উপরে ভরসা করতে পারছেন না। রেজ্জাকেরা এই শূন্যতা ভরাট করতে চান।
প্রসেনজিৎ এ দিন বলেছেন, “তৃণমূলের অপশাসন, মস্তানি এবং বিজেপি-র সাম্প্রদায়িকতা রুখতে গণপ্রতিরোধ গড়তে হবে। আমরা চাই, রাস্তায় নেমে বিতর্ক হোক। বিতর্ক থেকেই প্রকৃত বিকল্প খোঁজা হোক।” রেজ্জাকের বক্তব্য, “গণতন্ত্রের চারা পোঁতা হল। আন্দোলনের জল দিয়ে একে বড় করতে হবে।” বামফ্রন্টের কিছু ভুল পদক্ষেপে বিরক্ত হয়ে যাঁরা ভেবেছিলেন তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনলেই সব সমস্যার সমাধান হবে, তাঁরা এখন মজা টের পাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেছেন রেজ্জাক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy