দার্জিলিঙের জন্য গন্তব্য নয়াদিল্লি।
তবে ওই লোকসভা আসনে কার সঙ্গে গাঁটছড়া হবে তা নিয়ে পথ খোলা রাখার রাস্তায় হাঁটছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। শনিবার বিকেলেই ঘনিষ্ঠদের নিয়ে নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। রওনা হওয়ার আগে ফেসবুক-বার্তায় বলেছেন, “দার্জিলিঙে কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে সব জাতীয় দলের সঙ্গে আলোচনা করব।” তাঁর দাবি, শুধু দার্জিলিং নয়, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রেও ভোটের অন্যতম নির্ণায়ক শক্তি তাঁর দল। তাই তিনটি আসন নিয়েই আলোচনা করতে চান তিনি।
পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তৃণমূল শিবির। দলের উত্তরবঙ্গের কোর কমিটির চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “আড়াই বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ে গিয়েছেন ২৫ বার। মানুষের সমস্যার সমাধানে কাজ করছেন। তাতে প্রত্যাশা বেড়েছে পাহাড়বাসীর। ভাইচুং ভুটিয়ার মতো ‘আইকন’ দিল্লিতে পাহাড়ের প্রতিনিধি হিসেবে গেলে দার্জিলিংবাসীর সুবিধাই হবে।” দলীয় সূত্রের খবর, মোর্চার সঙ্গে সমঝোতা হবে না ধরে নিয়ে আপাতত পাহাড়ে প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে মোর্চা কোনও প্রার্থীকে সমর্থনের কথা ঘোষণা না করা পর্যন্ত কড়া সমালোচনার পথে হাঁটবে না তৃণমূল। মুকুল রায়ের বক্তব্য, “আমরা চাই, সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক থাকুক।”
ভাইচুংকে প্রার্থী করা নিয়ে মোর্চা-তৃণমূলের সম্পর্কের টানাপোড়েন প্রকাশ্যে এসে পড়ায় কংগ্রেস-বিজেপি দু’শিবিরের নজরেই এখন দার্জিলিং। সম্ভবত সে জন্যই রাজ্যের কয়েকটি আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত হলেও দার্জিলিং কেন্দ্রে কংগ্রেস বা বিজেপি এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। রাজ্যে দার্জিলিংই একমাত্র আসন, যেখানে বিজেপির সাংসদ রয়েছে। মোর্চার সমর্থনেই সেই কেন্দ্র থেকে ২০০৯-এ জিতেছিলেন বিজেপি-র যশোবন্ত সিংহ। কিন্তু যশোবন্ত এ বার আর ওই কেন্দ্র থেকে দাঁড়াচ্ছেন না। তাঁর পরিবর্তের নামও চূড়ান্ত করে ফেলেছিল বিজেপি। দলের এক শীর্ষ নেতা এ দিন বলেন, “মোর্চা আলোচনায় বসতে চাওয়ার বার্তা দেওয়ার পরেই শেষ মুহূর্তে নামটি কেটে দেওয়া হয়। দু’-এক দিনের মধ্যেই মোর্চার সঙ্গে কথা হবে।” বিজেপি সূত্রের দাবি, মোর্চার পক্ষ থেকে রাজীবপ্রতাপ রুডিকে দার্জিলিঙে প্রার্থী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। রুডির সঙ্গে গুরুঙ্গদের সম্পর্কও ভাল। কিন্তু রুডি ছাপড়া থেকেই লড়তে চান। লালুপ্রসাদ এ বার ভোটে লড়তে পারবেন না বলে ওই আসনটিকে নিরাপদ মনে করছেন রুডি।
মোর্চা অবশ্য কংগ্রেসের সঙ্গেও আলোচনার রাস্তা খোলা রাখতে চাইছে। অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভার আপত্তি থাকলেও কেন্দ্রের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার যে ভাবে তেলঙ্গানা রাজ্য গড়েছে, তা তাঁরা মাথায় রেখে এগোতে চান। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “মোর্চা যদি কংগ্রেসের সঙ্গে দার্জিলিং আসনের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় বসতে চায়, অবশ্যই বসব। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy