ফাইল ছবি
পৌষের শেষে কি এ বার শীতের দেখা মিলবে? প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে থার্মোমিটারে পারদের ঊর্ধ্বমুখী গমন। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার তা বেড়ে হল ১৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা কি না স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে যা প্রায় তিন ডিগ্রি বেশি। দমদম ও সল্টলেকেও একই অবস্থা লক্ষ করা গিয়েছে। দু’টি এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কলকাতার চেয়ে সামান্য বেশি।
অলিপুর হাওয়া অফিস পূর্বাভাসে জানাচ্ছে, পৌষের শেষে রাতের শীতের দেখা সে ভাবে মিলবে না। উধাও হবে উত্তরে হাওয়ার দাপটও। এর বদলে মেঘলা আকাশ ও সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। ফলে কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ১১ জানুয়ারি অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই কলকাতা ও তার সন্নিহিত এলাকায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। বুধ ও বৃহস্পতিবার সেই বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে। কোনও এলাকায় বজ্রগর্ভ মেঘের সম্ভাবনাও রয়েছে। বাঁকুড়া, বীরভূম পুরুলিয়া, বর্ধমানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতে সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গেও। ১২ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ১৬ জানুয়ারি পর থেকে আকাশ পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
কী কারণে শীতের এই মুখ থুবড়ে পড়া?
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, শীতের এই মুখ থুবড়ে পড়ার পিছনে রয়েছে শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। ইতিমধ্যেই সেই ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারতে ঢুকেছে। যার জেরে উত্তরপশ্চিম ভারতের পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাত এবং সমতলে বৃষ্টি হচ্ছে। আটকে গিয়েছে উত্তুরে হাওয়াও। এই ঝঞ্ঝা মধ্য ভারত পেরিয়ে যত পূর্ব ভারতের দিকে আসবে, ততই বদলে যাবে কলকাতা-সহ রাজ্যের আবহাওয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy