বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভা এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। ফাইল চিত্র।
লক্ষ্মীর ভান্ডার এবং বিধবা ভাতা দু-ই পাবেন ৬০ বছরের কমবয়সী বিধবা মহিলারা। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভা এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে।
প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। সম্ভবত সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এমনিতেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য বিপুল খরচ হচ্ছে। তার পরে নতুন করে এই খরচ রাজ্য কতটা সামলাতে পারবে, সন্দেহ প্রকাশ করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
প্রশাসনিক ব্যাখ্যায়, এত দিনের নিয়ম অনুযায়ী, বিধবা ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে উপভোক্তার বার্ষিক আয় ১২ হাজার বা মাসিক আয় এক হাজার টাকার কম হতে হত। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছিলেন তফসিলি জাতি বা জনজাতিভুক্ত উপভোক্তারা। কারণ, তাঁরা এমনিতেই লক্ষ্মীর ভান্ডারে মাসে এক হাজার টাকা করে পাচ্ছেন। ফলে নিয়ম অনুযায়ী, তাঁদের বিধবা ভাতা পেতে সমস্যা হচ্ছিল। প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, এ দিনের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত, লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রাপ্য আয়, বিধবার ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করবে না। অন্য কোনও ভাতার ক্ষেত্রে সেই নিয়ম অবশ্য বজায় থাকবে।
আধিকারিক মহলের খবর, বেশ কয়েক মাস আগেও শুধু ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে প্রায় ১.৭৫ কোটি উপভোক্তার জন্য বছরে আনুমানিক ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হচ্ছিল রাজ্যকে। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘মেলা-খেলা যখন সরকার বন্ধ করতে বলছে, তখন এই খয়রাতি করতে গিয়ে কোষাগারের উপর আরও চাপ বাড়ানো হচ্ছে।’’
রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রাজ্য বর্তমানে লক্ষ্মীছাড়া। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অর্থ সংকুলান কোথা থেকে হবে তা এই সরকার জানে না। এখন ১১ বছর পর খেলা-মেলার বরাদ্দ কমানোর কথা মনে পড়ল? পুরসভা-পঞ্চায়েতের রাস্তা সারাইয়ের টাকা নেই। নূন্যতম নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার টাকা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy