ছবি: সংগৃহীত।
রাজনীতির ময়দানে তাঁরা যুযুধান। কিন্তু মুখোমুখি হলে পারস্পরিক সৌজন্যে কখনও ঘাটতি হয় না। কুশল বিনিময়ে এ বারও ব্যতিক্রম হল না দু’জনের। তবে করোনা পরিস্থিতিতে নবান্নে বৈঠক করতে গিয়ে বিমান বসুর ছেঁড়া পাঞ্জাবি ধরা পড়ে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে! প্রশ্ন উঠল বর্ষীয়ান বাম নেতার মাস্ক না পরা নিয়েও।
করোনা মোকাবিলায় এখন যুদ্ধকালীন তৎপরতা। নবান্নের অতিথি বামফ্রন্ট নেতাদের সোমবার থার্মাল স্ক্রিনিং করে, হাতে স্যানিটাইজার দিয়ে তবেই পাঠানো হয়েছিল সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক এবং চিকিৎসক সূর্যকান্ত মিশ্র-সহ সব নেতাই মাস্ক পরেছিলেন। ব্যতিক্রম ছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান। উপরন্তু, তাঁর পরনের পাঞ্জাবির সামনের ডান দিকে খানিকটা অংশ ছিল ফেঁসে যাওয়া। মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন— এ কী বিমানদা, আপনি ছেঁড়া পাঞ্জাবি পরে কেন বেরিয়েছেন! তার উপরে মাস্কও নেই! বিমানবাবু বলার চেষ্টা করেছিলেন, এই বয়সে তাঁর পাঞ্জাবি আর কে দেখবে! এখন মাস্ক পরেই বা কী হবে? কিন্তু সেই জবাব বিশেষ জুতসই হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর সামনে। তিনি বলেন, ছেঁড়া পাঞ্জাবি পরে বাইরে বেরোনো উচিত হয়নি। আর বয়স হয়েছে বলেই মাস্ক এবং সতর্কতা আরও জরুরি! সূর্যবাবুকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিমানবাবুর মাস্ক পরার ব্যাপারটা যেন তিনি দেখে নেন।
সূত্রের খবর, করোনা মোকাবিলার পদ্ধতি নিয়ে বিমানবাবুর কথায় ঈষৎ উত্তেজিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু দ্রুত তা নিভেও যায়। কয়েক বছর আগে ঘরছাড়া কর্মী-সমর্থকদের ফেরানোর দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়ে কেন ফিশফ্রাই খাওয়া হল, এই কূট প্রশ্নে বিদ্ধ হয়েছিলেন বিমানবাবু! এ বার অবশ্য অতিথি আপ্যায়নে এমন কোনও বাহুল্য ছিল না। কাগজের কাপে চা-টুকুই ছিল তুফান তোলার জন্য! পরে এক বাম নেতার মন্তব্য, ‘‘বৈঠক ইতিবাচক ভাবেই হয়েছে। আর ব্যক্তিগত স্তরে মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির মেয়ে বা বোনের মতোই বিমানদা’দের খেয়াল করেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy