বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
মেদিনীপুরে প্রসূতি-মৃত্যুর ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগে চিকিৎসকদের নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করেছে রাজ্য সরকার। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে ওই চিকিৎসকদের আইনি সহায়তার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েই আবার প্রশ্ন তুলেছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করার পাল্টা অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বিধাননগরে রাজ্য বিজেপির দফতরে শুক্রবার শুভেন্দু বলেন, “এই সাসপেনশনের বিরোধিতা করছি এবং তা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।” ময়না-তদন্তে প্রসূতির মৃত্যুর কারণ সেপ্টিসেমিয়া বলা হয়েছে, এমন দাবি করে শুভেন্দুর প্রশ্ন, “চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে কী করে?” এর পরেই তিনি নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। শুভেন্দুর অভিযোগ, “মেধাবী পড়ুয়াদের ‘কেরিয়ার’ ধ্বংস করতে, ভয় দেখাতে সিএমওএইচ-কে বাধ্য করা হয়েছে এফআইআর করতে। আমরা চিকিৎসকদের পাশে আছি। আমরা প্রয়োজনে তাঁদের আইনি সহায়তা দেব।” সোমবার সকালের মধ্যে সাসপেনশন প্রত্যাহার না হলে, ওই ডাক্তারদের নামে যেখানে অভিযোগ হয়েছে, সেই কোতোয়ালি থানায় অবস্থানে বসার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট সংস্থার ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ (আরএল) স্যালাইন সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে জানানোর এক মাস পরেও তা রাজ্যে কেন ব্যবহৃত হয়েছে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন শুভেন্দু। এই সময়ের মধ্যে যাঁদের চিকিৎসায় এই স্যালাইন ব্যবহার করা হয়েছে, তাঁদের জন্য প্রয়োজনে এমস-এর সাহায্য নেওয়ারও দাবি তোলেন শুভেন্দু।
কার্যত একই সুরে স্বাস্থ্য-প্রশাসনকে দায়ী করেছে সিপিএম-ও। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “একে হাসপাতালের পরিষেবা নেই, তার উপরে ডাক্তারদের বিনা কারণে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। সাসপেন্ড করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যসচিবকে করা উচিত! সরকারের অপরাধে জন-পরিষেবা ভেঙে পড়ছে। এর দায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিবের।”
শাসক তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের পাল্টা বক্তব্য, “মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে, প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। আপত্তিটা কোথায়? দায়িত্বে থাকা সিনিয়র ডাক্তারেরা ছিলেন না কেন? জুনিয়রদের হাতে বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হল কেন? দোষীদের বাঁচাতে নামছেন আন্দোলনকারীরা! আর জি করের ঘটনায় যাঁরা কুৎসা, বিভ্রান্তি করেছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy