Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

কর্তার ঘুম ভাঙাবে কে? অফিসটাইমে দেড় ঘণ্টা প্ল্যাটফর্ম আটকে ট্রেন

সেলুনকারে ঘুম ভাঙেনি রেল কর্তার। তাই তিন ঘণ্টা ধরে শিয়ালদহের মত ব্যস্ত স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকল একটি আস্ত ট্রেন। আর প্ল্যাটর্ফম খালি না থাকায় শুক্রবার সকালে শিয়ালদহ স্টেশনে বেশ কয়েকটি দূরপাল্লা ও লোকাল ট্রেনের সময়মত পৌঁছতে বা ছাড়তে দেরিও হয়ে গেল।

স্টেশনে দাঁড়িয়ে সেই ট্রেনটি। —নিজস্ব চিত্র।

স্টেশনে দাঁড়িয়ে সেই ট্রেনটি। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৬ ১৭:২৪
Share: Save:

সেলুনকারে ঘুম ভাঙেনি রেল কর্তার। তাই তিন ঘণ্টা ধরে শিয়ালদহের মত ব্যস্ত স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকল একটি আস্ত ট্রেন। আর প্ল্যাটর্ফম খালি না থাকায় শুক্রবার সকালে শিয়ালদহ স্টেশনে বেশ কয়েকটি দূরপাল্লা ও লোকাল ট্রেনের সময়মত পৌঁছতে বা ছাড়তে দেরিও হয়ে গেল।

রেল সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মালদহ থেকে ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারের (ডিআরএম) সেলুনকারটি জোড়া হয়েছিল শিয়ালদহমুখী পদাতিক এক্সপ্রেসে। শুক্রবার সকাল ৮-০৫ মিনিটে ট্রেনটি শিয়ালদহে পৌঁছয়। কিন্তু তিনি ওই সময় সেলুন থেকে না নামায় প্ল্যাটর্ফমেই আটকে থাকে খালি ট্রেনটি। রেল সূত্রের খবর, এমনিতেই শিয়ালদহে ট্রেনের তুলনায় প্ল্যাটর্ফমের সংখ্যা অনেক কম। তারমধ্যে ১২ কামরার লোকাল ট্রেন চালানোর জন্যও মাত্র কয়েকটি প্ল্যাটর্ফম রয়েছে। সকালের ব্যস্ত সময়ে এই রকম একটি বড় প্ল্যাটর্ফম জুড়ে খালি ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকায় হইচই শুরু হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: কে বলল এ শহর শুধু সেলফিতেই মজে? হৃদয়টা আবার চেনালো ভাঙা উড়ালপুর

রেলকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, পরে খবর নিয়ে দেখা যায়, ডিআরএম-এর ঘুম না ভাঙায় ট্রেনটিকে প্ল্যাটর্ফম থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়নি কারশেডে। উল্টে তাঁর কামরায় বাইরে থেকে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু রাখার ব্যবস্থা করে দিতে হয় রেলকর্মীদের। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে ১০-৪০ নাগাদ ডিআরএম সেলুনকার থেকে নেমে এলে তারপরে ট্রেনটিকে কারশেডে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেন রেলকর্মীরা।

ডিআরএম সম্পর্কে রেলকর্মীদের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন রেল কর্তারা। তাঁরা বলছেন, কারশেডে ট্রেন পাঠাতে দেরি হয়েছে ঠিকই। তবে ওই সময় সান্টিং ইঞ্জিন না থাকাতেই এই গোলমাল বলে জানিয়েছেন তাঁরা। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, ‘‘খালি ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেনটিকে প্ল্যাটর্ফম থেকে বার করে নিয়ে যেতে হয়। তখন কোনও সান্টিং ইঞ্জিন পাওয়া যায়নি, তাই দেরি হয়েছে।’’

কিন্তু এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রেল কর্তারাদের এই উত্তর ক্ষোভ বাড়িয়ে দিয়েছে শিয়ালদহ স্টেশনের রেলকর্মীদের। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘রেলের এমন অবস্থা হয়নি যে শিয়ালদ স্টেশনের মত প্রথম সারির স্টেশনের জন্য একটি সান্টিং ইঞ্জিনও কিনতে পারছে না। আসলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন কর্তারা।’’

অন্য বিষয়গুলি:

drm sleep train delay
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE