সাঙ্কেতিক চিহ্নগুলির সারমর্ম উদ্ধারে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ ।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সদ্য ধৃত তৃণমূল যুবনেতার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া নথিতে রয়েছে বেশ কিছু রহস্যজনক সাঙ্কেতিক চিহ্ন! এমনটাই জানা গিয়েছে ইডি সূত্রে। গত শুক্রবার শিক্ষক নিয়োগ মামলার তদন্তে নেমে চিনার পার্ক এলাকার একটি আবাসনের জোড়া ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষের বেশ কিছু নথি উদ্ধার করে ইডি। তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় একটি নোটবুক এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি, বিশেষত ব্যাঙ্কের নথি উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করেছে ইডি। সেই নথি খতিয়ে দেখার সময় ইডি আধিকারিকরা বেশ কিছু সাঙ্কেতিক চিহ্ন লক্ষ করেন বলে সূত্রের খবর। ইডি সূত্রে খবর, ধৃত কুন্তলের বেশ কিছু নথিতে কয়েকটি গোলাকার সাঙ্কেতিক চিহ্ন রয়েছে। সেই সাঙ্কেতিক চিহ্নগুলির সারমর্ম উদ্ধারে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি, ওই নথিগুলি কিসের এবং এই সাঙ্কেতিক চিহ্নের সঙ্গে টাকা লেনদেনের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তথা অন্যতম অভিযুক্ত তাপসের কাছ থেকেও একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছিল। সেটিতেও একাধিক হিসাব রয়েছে বলে দাবি। ইডি সূত্রে খবর, সেই ডায়েরির তথ্য এবং কুন্তলের থেকে প্রাপ্ত নথি পাশাপাশি রেখেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মিলিয়ে দেখা হচ্ছে তাপসের দাবিও।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চলাকালীন তাপস দাবি করেন, শিক্ষক পদপ্রার্থীদের থেকে কুন্তল কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন। তাপসের দাবি ছিল, ৩২৫ জন শিক্ষক পদপ্রার্থীর কাছ থেকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন কুন্তল। বাঁকা পথে যুবনেতার কাছে সব মিলিয়ে ১৯ কোটি টাকারও বেশি পৌঁছেছে বলে দাবি করেন তাপস। এর পরই তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। প্রথমে সিবিআইয়ের তরফে তৃণমূলের যুবনেতাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও গত শুক্রবার তদন্তে নামেন ইডি আধিকারিকরা। শনিবার তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। আদালতের নির্দেশে আপাতত ১৪ দিনের ইডি হেফাজতে রয়েছেন কুন্তল।
কুন্তলের দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তাপসকে অনেক টাকা তিনি দিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন হুগলির যুবনেতা। তাঁর দাবি, টাকা দেওয়া বন্ধ করতেই তাপস ইচ্ছা করে তাঁর নাম এই মামলায় যোগ করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।
সোমবার সকালে ইডির তরফে কুন্তলকে বিধাননগর হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে নিয়ে এলে তিনি জানান, তাপসকে টাকা দেওয়ার প্রমাণ তিনি ইতিমধ্যেই সিবিআইকে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘তাপসকে টাকা দিয়েছি, সেই প্রমাণ আমি সিবিআইকে দিয়েছি। তাপস ছাড়াও নীলাদ্রি ঘোষ আমার থেকে টাকা নিয়েছিল। সেই প্রমাণও দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy