—প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েতে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছিল, কোন দল কতগুলি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছিল, কোন কোন জেলার কতগুলি আসনে ভোট হবে না। ২২টি জেলার মধ্যে একমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরিসংখ্যান অসম্পূর্ণ ছিল। শুক্রবার সেই তথ্যও দিল কমিশন। সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যের ত্রী-স্তরীয় পঞ্চায়েতের ৭৩,৮৮৭টি আসনের ৯০১৩টি আসনে ভোট হবে না। অর্থাৎ এই ১২ শতাংশ আসনে কোনও না কোনও দল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইতিমধ্যেই জয় পেয়ে গিয়েছে।
কোন কোন জেলায়, কোন স্তরে কতগুলি আসনে ভোট হবে না? কমিশনের রিপোর্ট বলছে—
আলিপুরদুয়ার জেলার ১,২৫২টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে ৮টি
বাঁকুড়ার ৩,১২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে ৬৬৪টি, পঞ্চায়েত সমিতির ৫৬১টি আসনের মধ্যে ১০৬টি
বীরভূমের ২,৮৫৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে ৮৯৩টি, পঞ্চায়েত সমিতির ৪৯০টি আসনের মধ্যে ১২৮টি, জেলা পরিষদের ৫২টি আসনের মধ্যে ১টি
কোচবিহার জেলার ২,৫০৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ১৫৭টি, পঞ্চায়েত সমিতির ৩৮৩টি আসনের মধ্যে ১৭টি, জেলা পরিষদের ৩৪টি আসনের মধ্যে ১টি আসনে
দক্ষিণ দিনাজপুরে ১৩০৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ১১টি
দার্জিলিংয়ের ৫৯৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৪০টি, ১৫৬টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৯টি
হুগলির ৩,৮৮০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৩৯৮টি, ৬১৯টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৫৮টি
হাওড়ার ৩,১০২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৭১৭টি, ৪৭০টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৯৮টি
জলপাইগুড়ির ১,৭০১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ২৯টি
ঝাড়গ্রামের ১,০০৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৩০টি, ২১০টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৫টি
কালিম্পঙের ২৮১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ১০টি, ৭৬টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে একটি
মালদহের ৩,১৮৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৪৮টি, ৪৩৬টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৪টি
মুর্শিদাবাদের ৫,৫৯৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ১৬৬টি, ৭৪৮টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১২টি
নদিয়ার ৪,০১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬৩টি, ৫৪৯টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৫টি
উত্তর ২৪ পরগনার ৪,৫৩৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৮৬৭টি, ৫৯৩টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১০৪টি, ৬৬টি জেলা পরিষদের মধ্যে ৩টি
পশ্চিম বর্ধমানের ১,০২০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ২৭২টি, ১৭২টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১৮টি
পশ্চিম মেদিনীপুরের ৩,৮৮১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৬২২টি, ৬৩১টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৬৭টি
পূর্ব বর্ধমানের ৪,০১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৮৫৮টি, ৬৪০টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৯৩টি
পূর্ব মেদিনীপুরের ৪,২৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৬২টি, ৬৬৫টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ২টি
পুরুলিয়ার ২,৪৭৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ১৪টি, ৪৯৬টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১টি
উত্তর দিনাজপুরের ২,২২০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৩০৯টি, ২৯৩টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৩১টি এবং ২৬টি জেলা পরিষদের মধ্যে ৩টি।
বুধবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে কোনও পরিসংখ্যান প্রকাশ না করলেও শুক্রবার রাতে তা প্রকাশ করল কমিশন। সেই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, জেলার ৬,৩৮৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ১৭৬৭টি, ৯২৬টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ২৩৩টি এবং ৮৫টি জেলা পরিষদের মধ্যে ৮টি আসনে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না।
কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ২২টি জেলার মোটি ৬৩২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৮০০২টি, ৯,৭৩০টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৯৯১টি এবং ৯২৮টি জেলা পরিষদের মধ্যে ১৬টি আসনে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না। অর্থাৎ মোট আসনের ১২ শতাংশ আসনে কেউ না কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইতিমধ্যেই জয় পেয়ে গিয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের গত পঞ্চায়েত ভোটে প্রায় ৩৪ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।
মঙ্গলবার ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। কোন দলের কতজন প্রার্থী ভোট থেকে নাম তুলে নিয়েছেন সেই সংখ্যাও জানিয়েছিল কমিশন। কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, সবচেয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন শাসকদল তৃণমূলের প্রার্থীরা। মোট ৬,৮৪৮ জন তৃণমূল প্রার্থী নাম প্রত্যাহার করেছেন। এর পরেই রয়েছে বিজেপি। তাদের মোট ৫,৫৫২ জন প্রার্থী নাম তুলে নিয়েছেন, সিপিআইএমের ২,৯৯০ জন, কংগ্রেসের ১,৮২৬ জন, ফরওয়ার্ড ব্লকের ১০৬ জন, ২৬৮০ জন নির্দল প্রার্থী, আপের তিন জন, বিএসপির ১৩ জন, এনপিপর পাঁচজন এবং অন্যান্য ৫৭২ জন প্রার্থী নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy