পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট। —ফাইল চিত্র।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই। পরের বছর জানুয়ারির শেষ কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে তা হতে পারে। অন্তত রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। তাদের মতে, কোনও কোনও মহল ডিসেম্বরে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা জানালেও, তা সম্ভব নয়। এর পিছনে আইনগত কিছু সমস্যা রয়েছে। কমিশন জানাচ্ছে, এখন আসন পুনর্বিন্যাস এবং সংরক্ষণের কাজ চলছে। তা শেষ হবে সেপ্টেম্বরে। যদিও সরকারি ভাবে এখনও অবধি পঞ্চায়েত ভোটের সম্ভাব্য দিনক্ষণ নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
সূচি বলছে, আগামী বছর এপ্রিল-মে মাসে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা। তবে সরকারের কেউ কেউ ভোট এগিয়ে আসবে বলে ইঙ্গিত দেন। ডিসেম্বরে ভোট করানো হতে পারে বলেও শোনা যায়। কমিশন সূত্রে খবর, সেই সম্ভাবনা কার্যত নেই। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলাগুলিকে আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে আসন সংরক্ষণের কাজ। তার পর আবার খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হবে। তা ছাড়া নিয়ম অনুযায়ী আসন পুনর্বিন্যাসের ন্যূনতম ৭৫ দিন এবং সংরক্ষণের ৯০ দিন পর নির্বাচন করা যেতে পারে। ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হতে হতে ডিসেম্বর হয়ে যাবে। এ ছাড়া আরও বাড়তি কিছু সময় প্রয়োজন। তাই সে সময় ভোট করানো কার্যত অসম্ভব!’’
ওই আধিকারিক জানান, ওই সময়সীমার পর জানুয়ারিতে ভোটের চূড়ান্ত দিনক্ষণ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা যেতে পারে। এমনকি ওই মাসেই ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। তবেই ফেব্রুয়ারিতে ত্রি-স্তর পঞ্চায়েত ভোট হতে পারে। আবার প্রশাসনের এক কর্তা বলছেন, ‘‘ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা রয়েছে। ভোট এবং পরীক্ষা একই মাসে দু’টি করানো নিয়েও ভাবতে হবে।’’
সাধারণত প্রতি ১০ বছর অন্তর নির্বাচন ক্ষেত্রের সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং আসন সংরক্ষণে বদল ঘটে। পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে ২০১২ সালে শেষ বার হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এ বার রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জনসংখ্যা ৪৫০০-এর কম হলে এক জন, ন’হাজারের কম হলে দু’জন এবং তার বেশি হলে তিন জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য থাকবে। অন্য দিকে, জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে নির্ধারিত হয়েছে, ব্লক পিছু ৬০ হাজার জনসংখ্যার জন্য থাকবেন এক জন সদস্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy