পৌলোমী হালদার
বুকে বল পাচ্ছেন শম্ভু-দীপালিরা। বোমার উড়ে যাওয়া মেয়ের হাত হয়তো ফিরবে না, তবু বিকল্প কিছু একটা ব্যবস্থা হবে, বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন তাঁরা।
পঞ্চায়েত ভোটের আবহে বোমায় তাঁদের ৭ বছরের মেয়ে পৌলোমী হালদারের বাঁ হাত কব্জির উপর থেকে বাদ গিয়েছে— এই খবর সংবাদপত্রে বেরোতেই হাড়োয়ার গোপালপুরের হালদার বাড়িতে যোগাযোগ করছেন বহু মানুষ। কেউ বলছেন, নকল হাত গড়িয়ে দেবেন। কেউ বলছেন, পৌলোমীর পড়ার খরচ চালাবেন।
দীপালিকে ফোন করেন পরিবেশ কর্মী বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়ও। নকল হাত (প্রস্থেটিক লিম্ব) তৈরির ব্যবস্থা করবেন বলে কথা দেন। তিনি আরও জানান, ভোটের সময়ে রাজনৈতিক সন্ত্রাসে আহত বা নিহতদের ক্ষতিপূরণ চালুর জন্য তাঁরা জনস্বার্থ মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বসিরহাটের দক্ষিণের বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস, হাড়োয়ার বিধায়ক নুরুল ইসলামরা যান পৌলোমীদের বাড়িতে। দুপুরের দিকে ফোন করে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়।
দীপালি বলেন, ‘‘এত মানুষ আমাদের মেয়ের কথা ভাবছেন। মনে হচ্ছে, সকলের সাহায্য, ভালবাসায় ও ফের স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে।’’
মনোবিদ মৌমিতা মণ্ডলের কথায়, ‘‘মেয়েটিকে বুঝতে দেওয়া যাবে না, ও কারও থেকে কোনও অংশ কম। ওকে সাহস জোগাতে হবে। এই কাজে পাড়া-পড়শির ভূমিকাও কম নয়।’’
সকলের ছেঁড়া ছেঁড়া কথা থেকে পৌলোমী বুঝেছে, তার হাতের ব্যাপারটা নিয়েই আলোচনা চলছে। পৌলোমী বলে, ‘‘ঠাকুরকে বলতাম, হাতটা ফিরিয়ে দাও। তা হলে কি ঠাকুরই ফোন করছে বারবার?’’
‘‘তাই হবে হয় তো’’— মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন দীপালি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy