Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
State News

যন্ত্রই নেই, তবু বায়োমেট্রিক হাজিরার নির্দেশ

শুক্রবারের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক, নার্স-সহ সব স্তরের কর্মীদের হাজিরার হিসাব নিতে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যের চারটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বায়োমেট্রিক মেশিন এখনও বসেইনি।

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৮ ০৪:৫৩
Share: Save:

শুক্রবারের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক, নার্স-সহ সব স্তরের কর্মীদের হাজিরার হিসাব নিতে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যের চারটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বায়োমেট্রিক মেশিন এখনও বসেইনি।

কর্তারা স্বীকার করছেন, কয়েক দিন পরেই রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে সরকারি চিকিৎসক কিংবা কর্মীদের হাজিরা নিয়ে যাতে তোপের মুখে না পড়তে হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু হাজিরার ‘জল’ ধরা পড়লে? এক স্বাস্থ্য কর্তার কথায়, ‘‘এমন পরিস্থিতি হলে কী ভাবে সামলাব, তা ভেবেই হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।’’

স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ মে নোটিস জারি করে রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নির্দেশ দেওয়া হয়, বৃহস্পতিবার-শুক্রবার অর্থাৎ ২৪-২৫ মে-র মধ্যে বায়োমেট্রিক মেশিন বসাতে হবে। চিকিৎসক-সহ মে়ডিক্যাল কলেজের প্রত্যেক কর্মীর হাজিরার হিসেব রাখবে ওই যন্ত্র। এর আগেও কলকাতার কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বায়োমেট্রিক মেডিক্যাল কলেজে সেই মেশিন কেনা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলির ব্যবহার হয় না। হাজিরার হিসেব থাকে খাতাতেই।

মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, সমস্ত হাসপাতাল কর্মীদের হাজিরার হিসেব রাখার মতো বায়োমেট্রিক পদ্ধতি গড়ে ওঠেনি। মাত্র দু’দিনের মধ্যে সব ব্যবস্থা করাও কঠিন। অধিকাংশ বায়োমেট্রিক মেশিন খারাপ হয়ে গিয়েছে, আবার কোথাও মেশিনে হাসপাতালের সব কর্মীর হিসেব রাখার ক্ষমতা নেই। এই কম সময়ে সব ঠিক করে হাজিরা নেওয়ার কাজ শুরু করা যাবে কি না, পাশাপাশি, সেই মেশিন খারাপ হয়ে গেলে কী ভাবে হাজিরার হিসেব রাখা হবে, সে নিয়েও স্পষ্ট নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতর দেয়নি। ফলে, কর্মক্ষেত্রে হাজির থেকেও কী ভাবে তার প্রমাণ রাখা যাবে, তা নিয়েই হিমশিম খাচ্ছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসনের কর্তারা।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা পাওয়ার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা নিয়ে বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়ে তিনি স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তার পরেই স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্পর্কে আলোচনার জন্য বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক ডেকেছেন। তাতে অস্বস্তিতে দফতরের শীর্ষকর্তাদের অনেকেই। সরকারি হাসপাতালের কাজের নজরদারিতে স্বাস্থ্যভবনও যে যথেষ্ট সক্রিয়, সেটা বোঝাতেই এবার এই উদ্যোগ বলে জানাচ্ছেন প্রশাসনের একাংশ।

অন্য বিষয়গুলি:

Biometric Attendance Medical Colleges Doctors
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE