Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Sandip Ghosh

সন্দীপ ঘোষ আর ‘ডাক্তার’ নন! মেডিক্যাল কাউন্সিল বাতিল করল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের রেজিস্ট্রেশন

বৃহস্পতিবার এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল। আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতি এবং খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে এখন সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন সন্দীপ।

সন্দীপ ঘোষ।

সন্দীপ ঘোষ। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:০১
Share: Save:

নামের আগে আর ডাক্তার লিখতে পারবেন না জেলবন্দি সন্দীপ ঘোষ। প্রেসক্রিপশনও লিখতে পারবেন না। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তারা। আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতি এবং খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে এখন সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন সন্দীপ।

বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল জানিয়েছে, গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্দীপকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছিল। সেই নোটিসের উপযুক্ত জবাব দেননি সন্দীপ। সে কারণে নথিভুক্ত চিকিৎসকদের রেজিস্টার থেকে তাঁর নাম অপসারণ করা হল।

চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ-র রাজ্য শাখার তরফে মঙ্গলবারই মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতিকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি পদে বর্তমানে রয়েছেন তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা সুদীপ্ত রায়। চিঠিতে সুদীপ্তকে অনুরোধ করা হয়েছিল, যাতে ‘ব্যক্তিগত সম্পর্ক’ না দেখে সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ওই চিঠিতে সই ছিল তৃণমূলের অন্য এক চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেনেরও। উল্লেখ্য, আরজি কর-কাণ্ডের পর শান্তনু প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। এমনকি শান্তনুর স্ত্রী-কন্যাকেও আরজি করের আন্দোলনকারীদের সমর্থনে নামতে দেখা গিয়েছিল।

গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে খুন এবং ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ওই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। পাশাপাশি, আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছিল, সেই ঘটনারও তদন্তভার পায় সিবিআই। এই দুর্নীতিকাণ্ডে সন্দীপকে গত ২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে সিবিআই। গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্দীপকে শোকজ় করে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। সেই চিঠিতে জানানো হয়েছিল, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সন্দীপকে উত্তর দিতে হবে। যদি তা দেওয়া না হয়, কিংবা সন্তোষজনক উত্তর না মেলে, তা হলে সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে। মেডিক্যাল কাউন্সিলের ব্যাখ্যা ছিল, কোনও চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বাতিল করতে হলে দু’টি কারণে তা করা সম্ভব। এক, কেউ যদি কোনও অপরাধের চক্রান্ত কিংবা তাতে সরাসরি যুক্ত থাকার জন্য আদালতে দোষী প্রমাণিত হন এবং দুই, কোনও অপরাধমূলক কাজে নাম জড়ানোর ফলে জনসমাজে যদি তাঁর বদনাম হয়ে থাকে। তবে দু’টি ক্ষেত্রেই শোকজ় না করে কোনও চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা নিয়মবিরুদ্ধ। তাই সন্দীপকে শোকজ় করা হয়েছিল। শোকজ়ের জবাব দেওয়ার সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার কথা জানানো হল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy