শান্তি মিছিল টিকিয়াপাড়ায়। —ফাইল চিত্র।
পুলিশকে সমর্থন জানাতে গিয়ে হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার যে বাসিন্দারা লকডাউন ভেঙে মিছিল করেছিলেন, সোমবার রাতে তাঁদের বিরুদ্ধেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করল পুলিশ। ভিড়ে হাঁটার জন্য সংক্রমণের আশঙ্কায় পুলিশ অফিসার ও কর্মী মিলিয়ে মোট ১৮ জনকে পাঠানো হল কোয়রান্টিনে।
হাওড়ার ডিসি (সেন্ট্রাল) জোবি কে টমাস বলেন, ‘‘রবিবার র্যাফ, হাওড়া থানার ওসি এবং হোম ডেলিভারির স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে এলাকায় ঘোরার পরিকল্পনা হয়েছিল। কিন্তু এলাকার লোকজনও ওই সময়ে ভিড় করে পুলিশের সঙ্গে হাঁটতে শুরু করেন। লকডাউন না মানার জন্য তাই ১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় বাসিন্দার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রত্যেককে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে।’’
টিকিয়াপাড়ায় পুলিশের উপরে যে দিন হামলা হয়, তার পর দিন ভোরে ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রথমে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। চার জন স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে পুলিশ একটি শান্তি কমিটিও তৈরি করে। এর পরে গত রবিবার পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই এলাকার বাসিন্দারা টিকিয়াপাড়া ফাঁড়ি থেকে একটি মিছিল বার করেন। বিভিন্ন বাড়ি থেকে মিছিলের উপরে পুষ্পবৃষ্টিও করা হয়।
ওই ছবি ছড়িয়ে পড়তে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, লকডাউন ভেঙে পুলিশ কোন যুক্তিতে মিছিলের অনুমতি দিল এবং সঙ্গে থাকল? পুলিশের তরফে বলা হয়, তারা এলাকায় লকডাউন বলবৎ করতেই গিয়েছিল। তখন কিছু মানুষ এসে পা মেলান। পরে তাঁদের ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এ দিকে, পুলিশের বিরুদ্ধে জনতাকে উস্কানি দেওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে শেখ সিরাজউদ্দিন নামে এক প্রৌঢ় গ্রেফতার হয়েছেন। পুলিশ টুইট করে জানিয়েছিল, ওই ব্যক্তির ভাই জেলা বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের সদস্য। রাতে জেলা বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহা দাবি করেন, ধৃতের সঙ্গে বিজেপির যোগ নেই। মঙ্গলবার জেলা বিজেপি প্রশাসনকে ইমেলও করে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy