Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

কৃষিজমির সেসও তুলে দিল রাজ্য

মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘জমি যে কৃষকের হাতেই রয়েছে, এর প্রমাণপত্র থাকলেই আর দখলিসত্ত্ব নিয়ে সংশয় হবে না। এই প্রমাণপত্র কী হবে, তা ঠিক করতে শীঘ্রই বিধি প্রণয়ন করা হবে। কৃষক নিজের জমি নিয়ে যাতে সঙ্কটে না পড়ে, সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।’’

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৭ ০৯:৪০
Share: Save:

কৃষিজমির খাজনা মকুবের পরে এ বার সেসও তুলে দিল রাজ্য সরকার। বিধানসভায় বৃহস্পতিবার ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড রিফর্মস (সেকেন্ড অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৭’ পাশ করিয়ে বলা হল, চাষিদের আর জমির খাজনা, সেস এবং সারচার্জ দিতে হবে না।

কিন্তু সেস বাবদ দেয় অর্থের রসিদই যে কোনও চাষির জমির দখলিসত্ত্বের প্রমাণ। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘জমির সেস উঠে গেলে চাষিদের হাতে জমির দাখিলা হিসাবে কোনও কাগজ থাকবে না। সেস তো বেশি টাকা নয়। তাই চাষিকে রেহাই দেওয়ার বদলে আইনি লড়াইয়ের ক্ষেত্রে তাঁকে আরও দুর্বল জায়গায় ঠেলে দিল রাজ্য সরকার।’’ বিলে স্পষ্ট কিছু বলা না থাকলেও বিষয়টির গুরুত্ব মেনে নিয়ে বিধানসভায় পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘জমি যে কৃষকের হাতেই রয়েছে, এর প্রমাণপত্র থাকলেই আর দখলিসত্ত্ব নিয়ে সংশয় হবে না। এই প্রমাণপত্র কী হবে, তা ঠিক করতে শীঘ্রই বিধি প্রণয়ন করা হবে। কৃষক নিজের জমি নিয়ে যাতে সঙ্কটে না পড়ে, সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।’’

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমলেই ভূমি সংস্কার আইনে সংশোধনী এনে সেচ সেবিত এলাকায় চার একর এবং সেচহীন এলাকায় ৬ একর পর্যন্ত জমির খাজনা মকুব হয়েছিল।
সেই হিসেবে রাজ্যের প্রায় ৮০ ভাগ কৃষি জমির মালিককে খাজনা দিতে হয় না। কিন্তু সেস দিতে হত। চার ধরনের সেস আদায় করে ভূমি দফতর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সেস-ও তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছিল, সেস আইন বাতিল করা হবে কি না, তা নিয়ে। তার স্পষ্ট জবাব অবশ্য দেননি এ দিন পার্থবাবু। শুধু বলেছেন, ‘‘জমির প্রমাণপত্র থাকলে আর কোনও সংশয় থাকবে না।’’

অন্য বিষয়গুলি:

State Government Agricultural land SEZ সেস
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE