পরিদর্শন: সিউড়ির সরকারি পলিটেকনিক ঘুরে দেখলেন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
প্রথাগত শিক্ষায় চাকরি মিলছে না। তাই হাতে-কলমে শিক্ষা তথা কারিগরি প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার। শনিবার সিউড়িতে ‘প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা’র প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনটাই জানালেন কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, পৌরপিতা উজ্জ্বল চট্ট্যোপাধ্যায়। এদিন ডি আর ডি সি হল থেকেই তিলপাড়ার নতুন প্রশক্ষিন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। অতিথিরা কেন্দ্রটি ঘুরে দেখেন।
পূর্ণেন্দু বলেন,“রাজ্যে কারিগরী শিক্ষার বিষয়ে ২০১৬ উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের সূচনা করেছে রাজ্য সরকার। সেখানে কাজগুলি রুপায়ণের জন্য একটা সমিতি তৈরি করা হয় যার নাম পশ্চিমবঙ্গ স্কিল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি। রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় আর কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহায়তায় এই ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এজন্য বিভিন্ন সংস্থার নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। আমাদের জেলায় সিউড়িতে এই প্রশিক্ষণ দেবে এম এস সলিউসান নামে এক বেসরকারি সংস্থা। রাজ্য জুড়ে মোট এক লক্ষ ২৩ হাজার ৫৫০জন কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৫৮ হাজার ১৭০জনের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব এরকম বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। পরে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য আরও দেওয়া হবে।”
সিউড়ির বেসরকারি সংস্থা এম এস সলিউসান এর কর্ণধার(ডাইরেক্টার) মনোতোষ সাহা বলেন,“কৌশল ভারত বা স্কিল ইন্ডিয়া, জাতীয় স্কিল ডেভেলমেন্ট কর্পোরেশন ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনার এটি রাজ্যে প্রথম প্রশিক্ষন কেন্দ্র। আগামী ১৫ই নভেম্বর থেকে ছ’মাসের মধ্যে মেডিক্যাল রিপ্রেসেন্টেটিভ, ডকুমেন্টস অ্যাসিসন্ট্যাস, হ্যান্ডরোল আগরবাতি মেকার ও জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি রিটেল সেলস অ্যাসোসিয়েটস এর মত কাজে প্রশিক্ষণ দেবে এই কেন্দ্র। প্রতি বিভাগে ১৮০ জন করে মোট ৭২০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ১৮ থেকে ৩৫ বয়সী ছেলে মেয়েরা এখানে অংশ নিতে পারবেন।” পূর্ণেন্দু আরও জানান এই সব কেন্দ্র ছাড়াও রাজ্য সরকার কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে পলিটেকনিকের মাধ্যমে জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার ও আই টি আই এর মাধ্যমে প্রশিক্ষিত অনেকেই বিভিন্ন কারখানায় কাজ পেয়ে যান। রাজ্যের আপাতত ২৫০০ স্কুলে কারিগরি বিষয়ে হাতে-কলমে শেখানোর কাজ শুরু হয়েছে। তার মধ্যে মোট ৬০০টি স্কুলে অত্যাধুনিক পরিকাঠামোয় এই শিক্ষা দেওয়া হয়। যাঁরা বেশি পড়াশোনা করবেন না তারা যাতে হাতের কাজ শিখে বেকারি দূর করেন সেই ব্যাপারে রাজ্য সরকার চেষ্টা করছে। রাজ্যের কয়েকটি আই টি আইতে, বড় কোম্পানির সাথে যৌথ উদ্যোগে সিসি টিভি ইনস্টলেশান, স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ, চারচাকার গাড়ি সারানো ও রং করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কোম্পানির চাহিদামতো বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ায় সহজেই কর্ম সংস্থান হচ্ছে। আই টি আই এর পুরনো মেশিনগুলির আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। কৃষির ব্যাপারে কোনও প্রশিক্ষন ছিল না সেখানেও ৭২ রকমের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তি চাষের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। মূলত গ্রামের ছেলে মেয়েরা যাতে কাজ পান তাই রাজ্য সরকার এই সব প্রশিক্ষন কেন্দ্র চালু করেছে বলে জানান পূর্ণেন্দু। সাংসদ শতাব্দী রায় এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy