প্রতীকী ছবি।
কলকাতা ও হাওড়ায় ভাসমান ধূলিকণার (পিএম১০) প্রধান উৎস হল যানবাহনের ধোঁয়া (২২ শতাংশ) ও রাস্তার ধুলো (২০ শতাংশ)। তা ছাড়া ঘরোয়া ও বাণিজ্যিক কারণে জ্বালানির ব্যবহার (১৬ শতাংশ) ও নির্মাণকার্যও (১২ শতাংশ) রয়েছে। ওই দুই শহরে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার উৎস আবার ঘরোয়া জ্বালানি (৩৫ শতাংশ), যানবাহনের ধোঁয়া (২২ শতাংশ) রাস্তার ধুলো-সহ (১০ শতাংশ) একাধিক কারণ। দূষণের উৎস সংক্রান্ত ‘ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর (নিরি) চূড়ান্ত রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
সম্প্রতি জাতীয় পরিবেশ আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে তা জানিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, কলকাতার যানবাহনের দূষণের সিংহভাগ আসে পণ্যবাহী গাড়ি (৪৯ শতাংশ) এবং বাস (২৪ শতাংশ) থেকে। আর ছোট গাড়ি বা ক্যাব থেকে আসে মাত্র ৬ শতাংশ। হাওড়ার ক্ষেত্রেও একই ভাবে যানবাহনের দূষণের বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
তবে শুধু নিরির রিপোর্টই নয়, চামড়া বর্জ্য পোড়ানো, ভাগাড়ে বায়ো মাইনিং পদ্ধতি চালু, ধুলো-দূষণের জন্য ওয়াটার স্প্রিঙ্কলার কেনা, বনসৃজন, পুরনো বাণিজ্যিক গাড়ি ধাপে-ধাপে বাতিল, দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে বায়ুদূষণ প্রতিরোধে পরিকল্পনা-সহ একাধিক বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে— ওই হলফনামায় সে কথাও বলেছে সরকার। যদিও মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্তের কথায়, ‘‘নিরির রিপোর্টে দূষণ রোধের সুপারিশও উল্লেখ করার কথা বলতে হত। কিন্তু তা করা হয়নি। ফলে দূষণ রোধের প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণই থেকে গেল!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy