গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ভবন। ছবি: সুজিত দুয়ারি।
অশোকনগর স্টেশন চত্বরে তিরিশ বছরের পুরনো অম্বেডকর ভবন ও গ্রন্থাগার ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। জমি দখলের উদ্দেশ্যে ‘দালালচক্রের মদতে’ ভবন ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বাসিন্দাদের একাংশ। স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফেও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বহুজন সমাজ পার্টির তরফে পুলিশ-প্রশাসনের নানা মহলে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দারা জানান, ৭ জানুয়ারি ভবনের পিছনের কিছুটা অংশ গোপনে ভাঙা হয় বলে অভিযোগ। ১২ জানুয়ারি ভোরে বাকি অংশ পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়। ভবন ও গ্রন্থাগারের দায়িত্বে থাকা কয়েক জন প্রশ্ন করলে ১৬ জনের সই করা একটি ‘স্ট্যাম্প পেপার’ দেখান ওই কাজে আসা লোকজন। তাতে দেখা যায়, হাবড়ার আটুলিয়ার বাসিন্দা সন্তোষ সরকার নামে ‘অম্বেডকর ভবনের এক অনুরাগী’ সহ কয়েক জন বৈঠক করে ভবনটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভবনের পিছনে নির্মাণ কাজ মিটলে নতুন করে ভবন তৈরি করে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
বয়ান পুরোটাই ভুয়ো এবং দালালচক্রের তৈরি করা বলে দাবি প্রতিবাদীদের। ‘সন্তোষ সরকার’ নামে কারও অস্তিত্বই নেই বলে অভিযোগ। ১৯৯৫ সালে ভবন তৈরির সময় থেকে যুক্ত জীতেন্দ্রনাথ বাগচী বলেন, “ভবন ভাঙার কথা আমি কিছু জানি না।” বহুজন সমাজ পার্টির নেতা তারকেশ্বর হাওলাদার বলেন, “ওই ভবনের পিছনে থাকা পুকুর বুজিয়ে বাজার করার উদ্দেশ্যে কিছু অসাধু ব্যক্তি ভবনটি ভেঙে ফেলেছে।” সিপিএম নেতা সত্যসেবী করের বক্তব্য, “রাজ্য জুড়েই এ ধরনের অনৈতিক কাজ চলছে।” অশোকনগর-কল্যাণগডের পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার বলেন, “অভিযোগ পেয়ে থানাকে জানিয়েছি। পুরসভার তরফে এলাকায় লোক পাঠানো হয়েছিল। তবে কাউকে পাওয়া যায়নি। কিছু দালাল এই কাজ করেছে। ভাঙচুর বা দখল সমর্থন করি না। পুলিশ-প্রশাসনকে বলব ব্যবস্থা নিতে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy