অটলবিহারী বাজপেয়ী ও সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানাতে চায় রাজ্য বিধানসভা। —ফাইল চিত্র।
অটলবিহারী বাজপেয়ী ও সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানাতে চায় রাজ্য বিধানসভা। তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তাব গ্রহণের কথাও ভাবা হয়েছে। আজ বুধবার অধিবেশন শুরুর আগে সর্বদল বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হবে।
সাধারণ ভাবে সব অধিবেশনেই প্রয়াত বিশিষ্টজন ও পরিচিত রাজনীতিক এবং প্রাক্তন-বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের জন্য শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয় বিধানসভায়। সেই তালিকায় এ বার যেমন আছেন প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা ও প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আলাদা করে সোমনাথ ও অটলের কথা বিবেচনা করার ভাবনাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রয়াত এই দুই নেতাকে আলাদা করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে সরকার পক্ষের আগ্রহও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রস্তাব পাশ হলে অধিবেশনের এক বেলা জুড়ে আলোচনা হবে তিন প্রয়াত নেতাকে নিয়ে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘এখনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। সর্বদলে আলোচনা হবে।’’
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বাজপেয়ী ও সোমনাথবাবুকে শ্রদ্ধা জানানোর সূত্রে তৃণমূল পরোক্ষে বিজেপি এবং সিপিএমের সমালোচনা করার সুযোগ পাবে। অটলবিহারীর সঙ্গে আজকের বিজেপি নেতৃত্বের ‘ফারাক’ যেমন দেখানো যাবে, তেমনই সোমনাথবাবুকে সিপিএম থেকে বহিষ্কারের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলা যাবে সংবিধানের মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে তিনি দলের ‘কোপে’ পড়েছিলেন।
বস্তুত, এই সব কথা বিভিন্ন সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতারা প্রকাশ্যে বলেছেন। বাজপেয়ী সম্পর্কে মমতার মূল্যায়ন হল, তিনি সকলকে নিয়ে চলতেন। এবং দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে ছিলেন। সেই সব কথা আরও এক বার বিধানসভায় ভাষণের অঙ্গ হয়ে লিপিবদ্ধ হলে স্থায়ী ভাবে থেকে যাবে। তা প্রযোজ্য সোমনাথবাবু সম্পর্কেও। লোকসভার স্পিকার হিসাবে তিনি দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকতে চেয়েছিলেন বলে সিপিএম তাঁকে বহিষ্কার করে— এমনই বক্তব্য বিধানসভার রেকর্ডে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘আগেও ইন্দিরা গাঁধী, রাজীব গাঁধীর প্রতি এ ভাবে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য খোঁজা ঠিক হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy