ফের নামল পারদ। ছবি: শাটারস্টক।
মেঘ কাটতেই ফের ফিরে এসেছে শীতের কামড়। কনকনে ঠান্ডায় কাঁপতে শুরু করেছে পাহাড় থেকে সমতল।
সান্দাকফু, ধোতরে-এই সব জায়গা বরফের চাদরে ঢাকা পড়ে গিয়েছে। শনিবার টাইগার হিলেও তুষারপাত হয়েছিল। অন্যদিকে সিকিমের ছাংগু, নাথুলা, লাচেন-সহ বিভিন্ন জায়গায় তুষারপাতের কারণে রাস্তা বন্ধ রয়েছে। পাহাড় যত ঠান্ডা হচ্ছে, তত সেই শীতল উত্তুরে হাওয়া সমতলে প্রবেশ করছে। ছড়িয়েছে শীতের দাপট। তার প্রভাবে বিভিন্ন জেলায় পারদ ক্রমশ নামতে শুরু করেছে।
ইংরেজি বছরের শুরু থেকেই মেঘলা দিন আর স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া ছিল। রবিবার থেকেই শিরশিরে উত্তরে হাওয়া মালুম হচ্ছিল। তবে রবিবারও মেঘ করে থাকায় এই সময়ে যতটা পারদ নামার কথা, রাতে ততটা নামেনি।
আরও পড়ুন: জেএনইউ: পুলিশের সামনেই তেড়ে গেল ওরা
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতো সোমবার সকাল থেকেই মেঘ পুরোপুরি কেটে গিয়ে রোদ উঠেছে। দিনে রোদ এবং রাতে দ্রুত পারদ নেমে কনকনে ঠান্ডা— গাঙ্গেয় বঙ্গে শীতের আসল চরিত্র এটাই। রবিবার কলকাতার তাপমাত্রা সেখানে ছিল ১৪ ডিগ্রির ঘরে (যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি), সোমবারই তা নেমে দাঁড়িয়েছে ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম)। হাড়কাঁপানো শীতের জন্য বিখ্যাত বীরভূমের শ্রীনিকেতনে রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৮ ডিগ্রি, স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি উপরে। সোমবার মেঘ কাটতেই সেখানকার পারদ নেমে দাঁড়িয়েছে ৯.২ ডিগ্রিতে। এ ছাড়া সোমবার দার্জিলিঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ০.৬ ডিগ্রি, কালিম্পঙের ৩ ডিগ্রি এবং বাঁকুড়ার ১১.৫ ডিগ্রি।
আরও পড়ুন: ইরানের ‘যুদ্ধ নিশান’, ‘টার্গেট’ তৈরি ট্রাম্পের
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলে দানা বেঁধেছে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। সেই ঝঞ্ঝা কতটা শক্তিশালী হচ্ছে তার উপরই নির্ভর করছে গোটা পূর্ব ভারতের ঠান্ডার পরিস্থিতি। তার প্রভাব পড়বে এ রাজ্যেও। ফলে এখন বেশ কয়েকদিন আবহাওয়া এরকমই থাকবে। চুটিয়ে শীত উপভোগ করতে পারবেন রাজ্যবাসী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy