গ্রুপ-সি পদে ৭৮৫ জনের চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল করতে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-কে নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে বাতিল করতে বললেন, সুপারিশপত্র ছাড়াই নিয়োগপত্র পাওয়া ৫৭ জনের চাকরি। পাশাপাশি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, শূন্যপদে ১০ দিনের মধ্যে ওয়েটিং লিস্ট থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
সুপারিশপত্র ছাড়া চাকরি দেওয়া হয়েছে অভিযোগ রয়েছে এমন ৫৭ জন গ্ৰুপ-সি কর্মীর নামের তালিকা দু’ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ করার জন্য এসএসসি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এসএসসি কর্তৃপক্ষ তালিকা পেশের পরে ওই ৫৭ জনের চাকরি বাতিলের পাশাপাশি গ্রুপ-সি পদে ৭৮৫ জনের চাকরির সুপারিশপত্রও (এবং চাকরি) বাতিল করার নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন:
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, আজ থেকেই স্কুলে ঢুকতে পারবেন না এই গ্রুপ-সি কর্মীরা। শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ৭৮৫ জনের চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল করতে হবে এসএসসি-কে। ৫৭ জনের নিয়োগপত্র বাতিল করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। স্কুলের কোনও কাজের সঙ্গে তাঁরা যুক্ত থাকতে পারবেন না। তবে এখনই ওই কর্মীদের বেতন ফেরতের কোনও নির্দেশ দেননি তিনি। বিষয়টি আদালত পরে বিবেচনা করবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে এই মামলার শুনানিতে দুপুর ১টা ২ মিনিটে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২ ঘণ্টার মধ্যে ওই ৫৭ জনের নামের তালিকা এসএসসিকে প্রকাশ করতে হবে। অর্থাৎ বিকেল ৩টে ২ মিনিট পর্যন্ত ছিল সময়সীমা। (তবে বিচারপতি মৌখিক ভাবে জানিয়েছিলেন, ৩টে ১৫-য় এজলাসে ফিরে তালিকা দেখতে চান তিনি)।
আরও পড়ুন:
সেই সময়সীমার ঢের আগে, ২টো ৩১ মিনিটেই এসএসসির ওয়েবসাইটে সুপারিশ ছাড়া চাকরি পাওয়া ৫৭ জন গ্ৰুপ সি কর্মীর নামের তালিকা প্রকাশ করে দেওয়া হল। তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘোষণা মেনেই সাড়ে ৩টেতে আবার এই মামলার শুনানি হবে।এর পর শুনানি-পর্বের শেষে ৭৮৫ জনের সুপারিশপত্র বাতিল এবং এসএসসির সুপারিশপত্র ছাড়াই নিয়োগপত্র পাওয়া ওই ৫৭ জনের সরাসরি চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপারিশপত্র দেয় এসএসসি। তার ভিত্তিতে নিয়োগপত্র দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফলে নিয়ম অনুযায়ী, সুপারিশপত্র না দিলে নিয়োগপত্র দেওয়া যায় না! এই ৫৭ জনের ক্ষেত্রে এসএসসি অফিস থেকে কোনও সুপারিশপত্র দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। গত বছর সন্দীপ প্রসাদের দায়ের মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, এসএসসি-র গ্রুপ সি পদে বহু কর্মীকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে।