ঘটনাস্থলে ভিড় গ্রামবাসীদের।—নিজস্ব চিত্র।
হেমতাবাদের বিধায়ক আত্মহত্যা করেছেন বলে ইঙ্গিত দিল পুলিশ। রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের জামার পকেট থেকে একটি ‘সুইসাইড নোট’পাওয়া গিয়েছে। সেখানে দুই ব্যক্তির নাম করা হয়েছে। ওই দুই ব্যক্তিকেই তিনি মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন। সিআইডি-র হাতে এই ঘটনার তদন্তভার উঠেছে।
রাজ্য পুলিশ এ দিন বেলা ১২টা ৪৬ মিনিটে টুইটও করে এ বিষয়ে। সেখানে জানানো হয়েছে, সোমবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের বালিয়া দেবেন মোড়ের কাছে একটি মোবাইলের দোকানের সামনে বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। সে প্রসঙ্গেই বলা হয়েছে যে বিধায়কের জামার পকেট থেকে একটি নোট উদ্ধার হয়েছে যেখানে তিনি দুই ব্যক্তিকে দায়ী করেছেন তাঁর মৃত্যুর জন্য।
রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তদন্তের সমস্ত প্রক্রিয়া চলছে। স্নিফার কুকুর নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে। পৌঁছচ্ছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও। রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে দ্রুত কোনও সিদ্ধান্তে না পৌঁছতে। পুলিশ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, উত্তপ্ত হেমতাবাদ, তীব্র আক্রমণে বিজেপি
তবে পুলিশের এই বয়ান মানতে নারাজ বিধায়কের স্ত্রী চাঁদিমা রায়। তাঁর অভিযোগ, খুন করা হয়েছে দেবেন্দ্রনাথ রায়কে। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও একাংশ একে ‘আত্মহত্যা’ বলে মানতে নারাজ। তাঁদের প্রশ্ন, বিধায়কের বাড়ি থেকে যে বাজারের দোকানের সামনে দেহ পাওয়া গিয়েছে তার দূরত্ব অনেকটাই। যে পথে বিধায়কের বাড়ি থেকে দেবেন মোড়ে পৌঁছনো যায়, সেই রাস্তাতেও অনেক নির্জন জায়গা রয়েছে। সেখানে আত্মহত্যা না করে তিনি এত দূরে গিয়ে আত্মহত্যা করবেন কেন? রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপারিনটেনডেন্ট সুমিত কুমারও জানিয়েছেন, তাঁরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছেন। তবে সেই সঙ্গে জানিয়েছেন বিধায়কের পকেটে পাওয়া সুইসাইড নোটের কথাও। তিনি নোটে উল্লিখিত ব্যক্তিদের নাম জানাননি। তাঁদের কী ভূমিকা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুমিত কুমার।
আরও পড়ুন: রাজস্থানে সরকার সুরক্ষিত, গভীর রাতে অভূতপূর্ব সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি কংগ্রেসের
এলাকার মানুষ বিধায়কের হাত বাঁধা কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন? দোকানের বারান্দার চালের বাঁশ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় বিধায়কের দেহ। তাঁর বাঁ হাতের পাঞ্জার সঙ্গে দড়ি বাঁধা পাওয়া যায়। সেটি চালের দিকে বাঁধা অবস্থায় উঁচু হয়ে রয়েছে। ডান হাতটি দেহের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে রয়েছে। প্রশ্ন, ‘‘কেউ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলে তাঁর বাঁ হাতে দড়ি বাঁধা থাকবে কেন?” রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবার জন্যই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy