—নিজস্ব চিত্র।
আদালতের নির্দেশ মেনে অবস্থান-বিক্ষোভের মঞ্চ সরানোর কাজ শুরু করলেও বিশ্বভারতীতে আন্দোলন চলবেই বলে জানালেন বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। শুক্রবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের অদূরে মঞ্চ ভাঙার কাজ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশের পর তা সরিয়ে নেওয়া হবে উপাচার্যের বাসভবনের থেকে ৫০ মিটার দূরে। তবে তাতে তাঁদের আন্দোলনের গতি কমবে না বলেই দাবি পড়ুয়াদের। পড়ুয়ারা আন্দোলনে অনড় থাকলেও বিশ্বভারতীতে অচলাবস্থা কাটাতে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র বার করতে হবে বলে মনে করেন সাংসদ শতাব্দী রায়।
গত কয়েক দিন ধরেই বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাসভবনের প্রায় ২০-২৫ মিটার দূরত্বে মঞ্চ বেঁধে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন পড়ুয়াদের একাংশ। তবে শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, উপাচার্যের বাসভবনের ৫০ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে পারেন পড়ুয়ারা। বিশ্বভারতীর মধ্যে বিক্ষোভ করা যাবে না বলেও নির্দেশ দেয় আদালত। উপাচার্যকে পুলিশি নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনকেও নির্দেশ দেয়। আদালতের সেই নির্দেশ মেনে শুক্রবার দুপুর থেকেই বিক্ষোভ-মঞ্চ ভাঙার কাজ শুরু করেন পড়ুয়ারা। তবে তা সরিয়ে উপাচার্যের বাসভবন থেকে ৫০ মিটার দূরে নতুন মঞ্চ বাঁধার প্রস্তুতিও নিয়েছেন তাঁরা। পড়ুয়াদের বক্তব্য, “আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই মঞ্চ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”
শুক্রবার আদালতের নির্দেশের পর সক্রিয় হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী বলেন, “আমরা লিখিত ভাবে আদালতের নির্দেশ পাইনি। তবে সংবাদমাধ্যমের সাহায্যে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ জানার পর স্থানীয় থানাকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।” শুক্রবার আদালতের নির্দেশের পর উপাচার্যের বাসভবনের ভিতরে মূল গেটের সামনে তিন জন সশস্ত্র কনস্টেবলকে বসানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, শান্তিনিকেতন থানার তরফ থেকে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আগে থেকেই একজন এএসআই-সহ চার জন কনস্টেবলকে মোতায়েন করা হয়েছিল। শুক্রবার আদালতের নির্দেশের পর তাঁদেরকে উপাচার্যের বাসভবনের মূল গেটের সামনে বসানো হল।
শুক্রবার বিশ্বভারতীতে পড়ুয়াদের আন্দোলনের সাত দিনে পড়ল। তবে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পড়ুয়াদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে বলে মনে করে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। তিনি বলেন, “উপাচার্য সম্পর্কে পড়়ুয়াদের অনেক অভিযোগ রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। সেগুলি কী, তা আমার সঠিক জানা নেই। তবে আলোচনার মাধ্যমের সমাধানসূত্র বার করতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy