বয়স বাড়তে থাকলে ত্বকের অন্যতম উপাদান কোলাজেন প্রোটিনের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে ত্বক শিথিল হতে শুরু করে। তাতে বলিরেখাও পড়ে। ত্বক যদি নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয়, তা হলে ত্বকের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মৃত কোষও জমতে থাকে। সব মিলেই ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। তার উপর দূষণ এবং সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির প্রভাব তো রয়েছেই। ত্বকের যত্নে নিয়মিত ক্লিনজ়িং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজ়িং যেমন জরুরি, তেমনই মাঝেমধ্যে দরকার পড়ে মাস্কের, যা ত্বককে বাড়তি যত্নে রাখে। এর জন্য পার্লারে গিয়ে দামি কোনও মাস্ক বা ফেসপ্যাক লাগানোর দরকার নেই। ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন বিশেষ এক ধরনের ফেস মাস্ক।
অনেকেই বলেন, অ্যাভোকাডোর ফেস মাস্ক খুব তাড়াতাড়ি ত্বক থেকে মৃতকোষ দূর করতে পারে। ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা ফেরায় এবং বার্ধক্যের ছাপ মুছে দিতে পারে। কিন্তু অ্যাভোকাডোর দাম বেশি, তা ছাড়া সহজলভ্যও নয়। তাই বিকল্প হিসেবে পেঁপে ব্যবহার করতে পারেন। পেঁপের মধ্যে ভিটামিন এ, সি, ই ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা ত্বকে কোলাজেন তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। পাশাপাশি ত্বকের স্বাস্থ্যও ভাল রাখে। এটি যে কোনও প্রদাহজনিত রোগ থেকে ত্বককে বাঁচাতে পারে। আর পেঁপের সঙ্গে যদি দই মিশিয়ে দিতে পারেন, তা হলে পার্লারে না গিয়েও তারকাদের মতো জেল্লাদার ত্বক পাবেন অল্প দিনেই।
আরও পড়ুন:
পেঁপে-দইয়ের মাস্ক কী ভাবে বানাবেন?
এক চা চামচ টক দইয়ের সঙ্গে এক চা চামচ পেঁপে বাটা মিশিয়ে মিহি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। তাতে মিশিয়ে দিন এক চামচ মধু। এই মিশ্রণ খুব ভাল করে মুখ, গলা ও হাত মালিশ করতে হবে। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে উষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বক শুষ্ক হোক, তৈলাক্ত বা স্পর্শকাতর— এই ফেস মাস্ক যে কোনও ত্বকের জন্যই উপযোগী। ত্বকে ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা থাকলেও এই মাস্ক ব্যবহার করলে সুফল পাওয়া যেতে পারে।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার জন্য লেখা। সকলের ত্বক সমান নয়। অনেকের
অ্যালার্জির ধাতও থাকে। তাই যে কোনও ফেস-মাস্ক ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ
নেওয়া জরুরি।