ফাইল চিত্র।
করোনার টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। টিকা দেওয়ার দায়িত্ব ভেঙে দেওয়া হল। দু’টি ভাগে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। টিকার পর্যাপ্ত জোগান না থাকার কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।
প্রথম ভাগে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি দেখবে স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে থাকা হাসপাতালগুলি এবং সংশ্লিষ্ট জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। অন্য দিকে, যাঁদের সংক্রমিত হওয়া ও সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি— তাঁদের দ্বিতীয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ওই ব্যক্তিদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি দেখবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এ বিষয়ে তাঁরা জেলাশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলবেন।
দ্বিতীয় ভাগে কারা কারা রয়েছেন?
• সরকারি ও আধা সরকারি কর্মী ও তাঁদের পরিবারের লোকজন। বিশেষ করে যাঁরা নির্বাচন চলাকালীন টিকা নেননি। এর মধ্যে পড়বেন শিক্ষকরাও।
• অত্যবশ্যকীয় পরিষেবা বা সেই সংক্রান্ত পণ্যের ডিলার এবং তাঁদের কর্মীরা। যেমন, রেশন ডিলার, কেরোসিন ডিলার, গ্যাসের ডিলার, পেট্রলপাম্পের কর্মীরা।
• ট্যাক্সি, অটো, টোটো ও রিকশাচালক-সহ সব পরিবহণ কর্মীরা
• আইনজীবী, মুহুরি, ক্লার্ক ও আদালতের কর্মীরা।
• যৌনকর্মী ও রূপান্তরকামীরা
• সংবাদপত্রের হকার-সহ সব হকার
• বাজারের সবজি, মুদিখানা, মাছ বিক্রেতারা
• কোভিড স্বেচ্ছাসেবক
• সামাজিক হোম ও সংশোধনাগারের আবাসিকরা
এই ভাগের জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব বিভিন্ন দফতরের মধ্যেই ডেটাবেস তৈরি, সেটা আপডেট এবং টিকাকেন্দ্রের ব্যবস্থার দায়িত্ব বণ্টন করে দেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy