—ফাইল চিত্র।
অসমের ধুবুরিতে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন মেঘু দাস। তাঁর কথায়, ‘‘২ মে-র পরে অসমের শিবিরে এসেছিলাম। তবে এখন রাতে মাঝে মধ্যেই বাড়িতে থাকি।’’ মেঘু জানান, এ দিন রাজ্যপাল, সাংসদ-বিধায়করা আসবেন। তাই তাঁকে ‘আসতে বলা হয়েছিল’। রাজ্যপাল শুক্রবার ধুবুরির আশ্রয় শিবিরে এমনই ‘সন্ত্রাসের’ ছবি দেখে এলেন। কথা বললেন। কলকাতায় ফেরার আগে শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের জানালেন, তৃণমূলের লোকেদের আক্রান্ত হওয়ার খবর তাঁর জানা নেই। যেমন বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, উদয়ন গুহের আক্রান্ত হওয়ার খবর তিনি জানতেন না। একই সঙ্গে রাজ্যপালের দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আজ শনিবার তাঁর নন্দীগ্রামে যাওয়ার কথা।
এ বারের উত্তরবঙ্গ সফরে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রথম থেকে অভিযোগ উঠেছে বিজেপি নেতা-সাংসদদেরই শুধু সঙ্গে নিয়ে ঘোরার। এ দিন সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহারের সাংসদ হিসেবে আমার সঙ্গে ছিলেন।’’ যদিও এ দিন ধুবুরিতে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে আসেন অসমের দুই প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক ও বিজেপির এক জেলা সভাপতি। কংগ্রেস বা অন্য কোনও দলের কেউ আসেননি। এই নিয়ে অবশ্য রাজ্যপাল কিছু বলেননি। কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ির তৃণমূলের নেতারা বলেন, ‘‘উনি রাজ্যপাল কম, বিজেপির রাজ্য সভাপতি বেশি। ভোটের আগে বা পরে উনি যা করছেন, তাতে উনি গুরুত্ব হারিয়েছেন।’’ জবাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘সাংবিধানি প্রধান হিসেবে রাজ্যপাল পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছেন বলে তাঁকে অসম্মান করা হচ্ছে। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা রাজ্যপালকে আক্রমণ করা বন্ধ করে কোভিড মোকাবিলায় মন দিন।’’
এ দিন কলকাতায় ফিরেছেন রাজ্যপাল। আগামিকাল, শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ নন্দীগ্রামে পৌঁছতে পারেন তিনি। হরিপুরের হেলিপ্যাডে তাঁর কপ্টারের নামার কথা। নন্দীগ্রাম বাজার, কেন্দেমারি-সহ বেশ কিছু এলাকায় যাওয়ার কথা। ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতির বাড়িতেও তিনি যেতে পারেন। তবে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, রাজ্যপালের সঙ্গে বিজেপি নেতারা কেউ থাকবেন না। তিনি সরেজমিনে যা দেখতে চান, দেখবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy