উস্তাদ রাশিদ খান। ছবি: সংগৃহীত।
রাশিদ খানের পদ্মভূষণ পাওয়ার সুসংবাদে আজ আমার খুশির সীমা-পরিসীমা নেই। বড়ই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছি। এমনিতেই আমি মনে করি, গোটা হিন্দুস্তানের এবং দুনিয়ার সঙ্গীতশিল্পীরা একটিই পরিবারের সদস্য। সুরের টানে সবাই একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। আর রাশিদের কথা নতুন করে কী বলি! কত ছোটবেলা থেকে ওকে দেখছি, ওর গান শুনছি। রাশিদ আমাকে চাচা বলে ডাকে। আবার ওর যে গুরু ছিলেন, সেই উস্তাদ নিসার হুসেন খান সাব আমার বাবাকে, চাচা বলে ডাকতেন! এই ভাবে আমাদের সম্পর্ক অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা রয়েছে।
রাশিদের সম্মান প্রাপ্তির এই অবকাশে আমাদের সরকার তথা পদ্ম খেতাব কমিটিকেও বিশেষ করে ধন্যবাদ দিতে চাইছি। তারা খুবই ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমন এক জন কণ্ঠশিল্পীকে তারা বেছেছে, যে দেশ ও দুনিয়ার সম্মান ও ভালবাসা অর্জন করেছে। ক্লাসিকাল মিউজ়িশিয়ানরা আজ বিশ্বের সেবা করছেন। তাঁদের স্বীকৃতি পেতে দেখলে গর্ব হয়।
আমার মতে রাশিদ এই মুহূর্তে দেশের শ্রেষ্ঠ ‘ভোকালিস্ট’। ঈশ্বরের আশীর্বাদ রয়েছে ওর উপরে। মা সরস্বতী যেন সাক্ষাৎ ওর গলায় ভর করে রয়েছেন! ওর কণ্ঠে বড়ই আকর্ষণ, আবেগ এবং আবেদন। তা সে খেয়াল, ঠুংরি, ভজন যা-ই গাক না কেন, আবেদনের কোথাও কোনও কমতি পাই না। গানে এবং গায়কীতে আবেদন থাকাটা তো খুবই জরুরি, যা রাশিদের পুরোমাত্রায় রয়েছে। বিশেষ করে ওর গাওয়া খেয়াল আমার খুবই প্রিয়। খেয়ালের ঘরানা খুবই প্রাচীন। গোয়ালিয়র থেকেই এই খেয়ালের প্রবর্তন হয়। উস্তাদ হাদ্দু খান এবং উস্তাদ হাস্সু খান ছিলেন এই ঘরানার আদিপুরুষ। ইনায়েত হুসেন খান ছিলেন রামপুর সাহাসওয়ান ঘরানার প্রবর্তক। খুবই প্রাচীন এবং ঐতিহ্যশালী এই ঘরানা।
এই কারণে আমি আরও খুশি যে রাশিদ নিজেই শুধু মঞ্চে গান গাইছে তা-ই নয়, কলকাতায় ও অনেক শিষ্য তৈরি করছে, শেখাচ্ছে। নিজের ছেলেকে তৈরি করছে যত্ন করে। ওর ছেলেও খুবই প্রতিভাবান, ভাল গাইতে শুরু করেছে। আমি ওদের সবার জন্যই গর্বিত। আমার আশীর্বাদ, শুভকামনা সর্বদা রাশিদের সঙ্গে থাকবে চিরকাল। ঈশ্বর সর্বদা ওর মঙ্গল করুন। আমি আশা করব, ওর পুত্র এবং অসংখ্য শিষ্য রাশিদের পরম্পরাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy