সপরিবারে বন্ধুপ্রকাশ।
কখনও থানায় ডেকে, কখনও বাড়ি গিয়ে দফায় দফায় একাধিক লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে সোমবার রাত পর্যন্ত মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের খুনের ঘটনায় পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করতে পারল না। ঘটনার সাত দিন পরেও খুনের কিনারা না হওয়ায় ক্ষুব্ধ নিহত বন্ধুপ্রকাশ পালের পরিবার।
বন্ধুপ্রকাশের মা মায়ারানি পাল বলছেন, ‘‘পুলিশ প্রথম থেকে সক্রিয় হলে খুনিরা ধরা পড়ত।’’ ওই শিক্ষকের শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরও অভিযোগ, পুলিশ ও সিআইডি ব্যর্থ। তারা বারবার একই প্রশ্ন করে যাচ্ছে। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তেরও দাবি করেছেন তাঁরা। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারকে একাধিক বার ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএসেরও উত্তর দেননি।
নিহত বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর স্ত্রী বিউটি ও ছেলে অঙ্গনের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এ দিন হাতে পেয়ে পুলিশ জানিয়েছে, তিন জনকেই চপার দিয়ে খুন করা হয়েছে। তিন জনের পাকস্থলী থেকে পাওয়া খাবার ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
রামপুরহাটের সৌভিক বণিককে এ দিনও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তবে বন্ধুপ্রকাশের কাছ থেকে টাকা ধার নেওয়ার কথা কবুল করলেও খুনের সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলেই দাবি করেছেন। বন্ধুপ্রকাশের শ্বশুর সুখেনচন্দ্র মণ্ডল-সহ বেশ কয়েক জনকেও এ দিন থানায় ডাকা হয়েছিল। সুখেন বলেন, ‘‘সৌভিকের সঙ্গে বন্ধুপ্রকাশের বন্ধুত্বই কাল হল। সৌভিকই আমার জামাই-সহ তিন জনকেই খুন করেছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, সৌভিকের কারণেই অর্থ সঙ্কটে ভুগছিলেন বন্ধুপ্রকাশ। সেই টাকা চেয়ে বিউটিও সৌভিককে বেশ কয়েক বার ফোন করেছিলেন। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, রবিবার সৌভিকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিমা সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেছে পুলিশ। সৌভিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বন্ধুপ্রকাশের শ্যালক সাক্ষীগোপাল মণ্ডল বলেন, ‘‘সিআইডি ও পুলিশ বাড়িতে এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের মুখ থেকেই জানতে পারি, বোনের বাড়িতে থাকা গয়নার কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। বোনের সঙ্গে সৌভিকের সম্পর্ক কেমন ছিল এ দিন তা-ও জানতে চায় পুলিশ।’’
বন্ধুপ্রকাশের সৎ মা মনোরমা পাল ও সৌভিকের প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলে পুলিশ। সৌভিকের প্রাক্তন স্ত্রী বলেন, ‘‘প্রায়ই এর-ওর কাছ থেকে টাকা ধার করত সৌভিক।’’ রামপুরহাটের বিধায়ক তথা মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টির উপরে নজর রাখছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy