Advertisement
২১ জানুয়ারি ২০২৫
Calcutta High Court

সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাই কোর্টে রাজ্য, মামলা দায়ের করার অনুমতি ডিভিশন বেঞ্চের

আরজি কর-কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সকালে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল।

সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার।

সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৫২
Share: Save:

শাস্তি ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে ছিলেন, তিনি এখনও ফাঁসির দাবিতে অনড়। সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাজ্য হাই কোর্টের দ্বারস্থ হবে বলেও জানান তিনি। রাত পোহাতেই সেই মতো আরজি কর-কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। সোমবার শিয়ালদহ আদালত দোষীর আমৃত্যু কারাবাসের শাস্তি ঘোষণা করে।

মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি)। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ।

শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস নির্দেশনামায় লিখেছেন, আরজি করের ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম হিসাবে বিবেচনা করছেন না তিনি। যদিও মুখ্যমন্ত্রী এটিকে বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা বলেই মনে করছেন। মুখ্যমন্ত্রী শুরু থেকেই আরজি কর-কাণ্ডে দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে এসেছেন। গত বছরের ৯ অগস্ট আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর দোষীর ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন তিনি। সোমবার শিয়ালদহ আদালত দোষীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী আবারও দোষীর ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন।

মমতার কথায়, তিনি দোষীর ‘চরমতম শাস্তি’ চেয়েছিলেন। শিয়ালদহ আদালত যে শাস্তি দিয়েছে, তাতে যে তিনি সন্তুষ্ট নন, তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “ফাঁসির সাজা হলে অন্তত মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম।”

এই মামলায় প্রথমে তদন্ত চালাচ্ছিল কলকাতা পুলিশ। পরে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। সম্প্রতি গুড়াপ, ফরাক্কা, জয়নগরের ঘটনাগুলিতে দোষীদের ফাঁসি দিয়েছে নিম্ন আদালত। এই মামলাগুলির তদন্তভার রাজ্য পুলিশের হাতেই ছিল। সোমবার সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের হাতে এই মামলা থাকলে, আমরা অনেক আগেই ফাঁসির রায় করিয়ে দিতে পারতাম।’’

তবে দোষীকে কেন ফাঁসি না দিয়ে আমৃত্যু কারাবাসের শাস্তি দেওয়া হয়েছে, সে কথা নির্দেশনামায় ব্যাখ্যা করেছেন বিচারক দাস। নির্দেশনামায় তিনি লিখেছেন, ‘যাবজ্জীবন হল নিয়ম। আর মৃত্যুদণ্ড হল ব্যতিক্রম’। তিনি মনে করছেন, ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে ‘চোখের বদলে চোখ’ বা ‘দাঁতের বদলে দাঁত’ বা ‘নখের বদলের নখ’ বা ‘প্রাণের বদলে প্রাণ’-এর মতো প্রতিশোধমূলক প্রবৃত্তিগুলি থেকে সরে আসা উচিত। বর্বরতাকে বর্বরতা দিয়ে বিচার করা উচিত নয় বলে লিখেছেন বিচারক।

অন্য বিষয়গুলি:

Sanjay Roy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy