বিধানসভায় সোমবার রাজ্যপাল বাজেট ভাষণ দিতে এলে, বিজেপি বিধায়কেরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সেই বিক্ষোভ দেখে ভাষণ না দিয়েই চলে যেতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু, পরে ভাষণের প্রথম ও শেষ লাইন পড়ে চলে যান তিনি।
রাজভবনের পথে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেছেন তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা। সোমবার বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করে এমন অভিযোগই করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়করা মিছিল করে রাজভবনে গেলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু জানান, তৃণমূলের পাঁচ বিধায়কের বিরুদ্ধে রাজ্যপালকে এফআইআর করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বিধানসভার সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, ‘‘বাজেট বক্তৃতা করতে আসা রাজ্যপালকে যে ভাবে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হল, তা নজিরবিহীন। এর আগে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এমন ঘটনা ঘটেনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই ঘটনা ঘটেছে। তাঁর নির্দেশে রাজ্যপালের উপর হামলা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই মুখ্যমন্ত্রী যখন বিরোধী দলের নেত্রী ছিলেন সেই সময় তাঁর নির্দেশেই বিধানসভা ভাঙচুর হয়েছিল। আমি তখন তৃণমূলের বিধায়ক ছিলাম। সেই ঘটনা যেমন নজিরবিহীন ছিল, রাজ্যপালকে শারীরিক হেনস্থাও তেমনই নজিরবিহীন ঘটনা।’’
বিধানসভায় সোমবার রাজ্যপাল বাজেট ভাষণ দিতে এলে, বিজেপি বিধায়কেরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সেই বিক্ষোভ দেখে ভাষণ না দিয়েই চলে যেতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু, পরে ভাষণের প্রথম ও শেষ লাইন পড়ে চলে যান তিনি। রাজ্যপাল চলে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান। পরে বিজেপি বিধায়কেরাও বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে রাজভবনে যান।
রাজভবন থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘রাজ্যপালকে নিগ্রহ করা হয়েছে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তাঁর হাত ধরে টানাটানি করেছেন। হাত মুচড়ে দিয়ে পেট চেপে দিয়েছেন। তাই চন্দ্রিমা, শশী পাঁজা, সাবিনা ইয়াসমিন, শিউলি সাহা এবং বেচারাম মান্নার নামে আমরা অপরাধ মূলক আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি রাজ্যপালকে। তবে তিনি কী করবেন সেটা তাঁর ব্যাপার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy