বিধানসভা ছাড়ছেন রাজ্যপাল। তাঁকে বিদায় জানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ও স্পিকার নিজস্ব চিত্র
বাজেট বক্তৃতা পড়তে রাজ্যপালের উপর হয়তো কোন একটা ‘চাপ’ ছিল বলে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে বিজেপি-র হাঙ্গামার পর কোনও মতে বাজেট বক্তৃতার প্রথম এবং শেষ লাইন পড়ে বিধানসভা থেকে চলে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁকে বিদায় জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘অবশেষে রাজ্যপাল নিজের বক্তৃতা করেছেন। পড়ার ইচ্ছে ছিল না বা কিছু একটা চাপ ছিল ওঁর উপর। আমি ঠিক জানি না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যপাল বাজেট বক্তৃতা না দিলে বাজেট অধিবেশন শুরু হত না। রাজ্যপাল সমন ডেকে বাজেট অধিবেশন শুরু করার প্রক্রিয়া করেছেন। তাই তো উনি পড়তে এসেছেন। আমরা বলেছিলাম সবটা পড়ার দরকার নেই। আপনি একটা লাইন পড়ুন।’’
বিজেপি-র সমালোচনা করে মমতা বলেছেন, ‘‘বিজেপি গণতান্ত্রিক কোনও পদ্ধতি মানে না। আমরা যেখানে যেখানে আছি, সেখানে সেখানে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে সম্মান দিই। এটা কোনও প্রতিবাদের পদ্ধতি হতে পারে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দুটো দিক এক করলে চলবে না। আমাদের লোকেরা কেউ কিন্তু কিছু বলেনি। আমরা এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। উনি তখন না পড়ে চলে যাচ্ছিলেন। তারপর আমাদের বিধায়করা বাধ্য হয়েছেন ওঁর চেয়ারের কাছে গিয়ে অনুরোধ করতে। আমাদের বিধায়করা বলেছেন, প্লিজ আপনি বাজেট পড়ুন। আমরা অনুরোধ করছিলাম, উনি একটা লাইন পড়ুন।’’
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘‘আপনারা সবাই নিজেদের মতো করে হিসেবে করে নিন। আপনারা সবাই জানেন, কী হয়েছে, কী হচ্ছে। আমি খুব দুঃখিত। মর্মাহত। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকারকে এই ভাবে যদি ধারাবাহিক ভাবে কাজে বাধা দেওয়া হয়, তা হলে তা গণতান্ত্রিকভাবে সুখকর নয়।’’
যাবতীয় অভিযোগের জবাবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘‘বাংলায় ভোটের ফল দেখেই বোঝা যাচ্ছে কারা গণতন্ত্র মানে। এখানে ছাপ্পা, রিগিং—সব হচ্ছে। আর রাজ্যপালের উপর কোনও চাপ ছিল কিনা, তা তিনি বলতে পারবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy