আঁটসাঁট পুলিশি নিরাপত্তা। —নিজস্ব চিত্র
নবান্ন অভিযান রুখতে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে প্রস্তুতি সেরে রাখছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই হাওড়া সেতুর উভয়মুখী রাস্তার বাঁ দিকে পর পর দাঁড় করানো হয়েছে পুলিশ ভ্যান, গার্ডরেল। হাওড়া সেতুতে ওঠার ঠিক মুখে রাখা হচ্ছে অ্যালুমিনিয়ামের ব্যারিকেড এবং কাঠের গুঁড়ি। হাওড়ার সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ বিদ্যাসাগর সেতুতে যাতে কোনও মিছিল উঠতে না পারে, সে জন্য সেতুতে ওঠার সমস্ত রাস্তায় থাকবে ব্যারিকেড। টার্ফ ভিউ রোড, হেস্টিংস মাজার, ফারলং গেট ও খিদিরপুর রোডে থাকছে অ্যালুমিনিয়ামের গার্ডওয়াল।
কলকাতা পুলিশের তরফে রবিবারই জানানো হয়েছিল, মঙ্গলবার ভোর ৪টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কলকাতার বেশ কয়েকটি রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। লালবাজারের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বিদ্যাসাগর সেতু, খিদিরপুর রোড, তারাতলা রোড, সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড, হাইড রোডে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে জওহরলাল নেহরু রোড, আরআর অ্যাভিনিউ, রেড রোড, ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড, এজেসি বোস রোড, এসএন ব্যানার্জি রোড, এমজি রোড, ব্র্যাবোর্ন রোড এবং হাওড়া সেতুতেও।
তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত হাওড়া সেতু এবং বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি বাস চলছে। তবে নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, অন্য দিনের তুলনায় অনেক কম বাস চলছে। বাসের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে অনেকেই বিকল্প পথে (মেট্রো এবং ফেরি সার্ভিস) গন্তব্যস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। অফিসযাত্রীদের কেউ কেউ বৃষ্টির মধ্যেই ছাতা মাথায় নিয়ে হেঁটে কর্মস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখভালের জন্য চার জন আইজি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক ছাড়াও ডিআইজি এবং এসপি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকেরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন। দু’হাজারের বেশি পুলিশকর্মীকে রাস্তায় নামানো হচ্ছে। হাওড়া ছাড়াও কলকাতা-সহ বিভিন্ন পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশকর্মীরা আসছেন। মঙ্গলবার সকালে দেখা যায়, সাঁতরাগাছি বাসস্ট্যান্ড, হাওড়া ময়দানের কাছে ব্যারিকেড তৈরির কাজ পুরোদমে চলছে। হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারা ব্যারিকেড তৈরির কাজ দেখভাল করছেন।
নবান্ন অভিযানকারীদের আটকাতে সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দান, ফোরশোর রোড, লক্ষ্মীনারায়ণতলা এবং মন্দিরতলায় বড় ব্যারিকেড তৈরির পরিকল্পনা করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও নবান্নের আশপাশে গলির মুখগুলি ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে বলে স্থির হয়েছে। জমায়েত রুখতে জলকামান, ড্রোন এবং কাঁদানে গ্যাসের উপরে আস্থা রাখতে চাইছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy