রবিবার থেকে বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন রেলের ট্রাফিক ইনস্পেক্টদের দিয়ে চালানো হচ্ছে বলে ট্রেন ম্যানেজারদের দাবি। —ফাইল চিত্র।
রেলের ট্রাফিক ইনস্পেক্টর দিয়ে হাওড়া শাখায় কয়েকটি লোকাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। সোমবার এমনই অভিযোগ করলেন ট্রেন ম্যানেজারেরা (গার্ড)। তাঁদের দাবি, এর জেরে যার জেরে বড়সড় দুর্ঘটনা হতে পারে। যদিও পূর্ব রেলের দাবি, যাত্রিসুরক্ষার কথা মাথায় রেখে নির্বিঘ্নে ট্রেন চালানো হচ্ছে।
পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনে প্রতি দিন প্রায় সাড়ে পাঁচশোর বেশি লোকাল ট্রেন যাতায়াত করে। সে সব ট্রেন চালানোর জন্য চালক রয়েছেন। ট্রেনের পিছনের গার্ড বগিতে থাকেন ট্রেন ম্যানেজারেরা (গার্ডরা)। তাঁরাই ট্রেন চালানোয় চালকদের সাহায্য করেন। স্টেশনের যাত্রীরা ট্রেনের কামরায় ঠিকমতো উঠেছেন বা নেমেছেন কি না অথবা ট্রেন ছাড়ার সঙ্কেতও চালকদের দেন ওই ম্যানেজারেরা। ফলে ট্রেনযাত্রা পরিচালনা করেন তাঁরা। অভিযোগ, ট্রেন ম্যানেজারদের যে নতুন ডিউটি রস্টার (অর্থাৎ কে কোন সময়ে কাজে আসবেন বা কোন ট্রেন পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন) তৈরি করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ, তাতেই সমস্যার সূত্রপাত। কারণ, নতুন রস্টারে কাজ করতে নারাজ হাওড়া ডিভিশনের প্রায় পাঁচশো জন ট্রেন ম্যানেজার।
এর জেরে রবিবার থেকে বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন রেলের ট্রাফিক ইনস্পেক্টদের দিয়ে চালানো হচ্ছে বলে ট্রেন ম্যানেজারদের দাবি। অল ইন্ডিয়া গার্ড কাউন্সিলের হাওড়া শাখার সভাপতি নীরাজ কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রেলওয়ে বোর্ডের সার্কুলার অনুযায়ী, কাজের পর ন্যূনতম ষোলো ঘণ্টা বিশ্রাম পাওয়ার কথা আমাদের। এই নিয়ম তৈরি করা হয়েছে রেলের এইচওইআর (আওয়ার অফ এমপ্লয়মেন্ট রেগুলেশন) মেনে। তবে নতুন রস্টারে আমাদের বিশ্রামের সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘নতুন যে রস্টার তৈরি হয়েছে, তাতে এইচওইআর নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আমাদের বিশ্রামের সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে রেলে যে শূন্যপদ রয়েছে তাতে নিয়োগ না করে আমাদেরকে দিয়ে জোর করে কাজ করিয়ে নিতে চাইছেন কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ম আমরা মানব না।’’
নীরাজের দাবি, ‘‘যাঁদের ট্রেন পরিচালনার কোনও প্রশিক্ষণ নেই, সেই ট্রাফিক ইনস্পেক্টরদের দিয়ে ট্রেন পরিচালনা করানো হচ্ছে। এতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’’ যদিও পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘ট্রেন চলাচল যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয় এবং যাত্রীদের সুরক্ষা যাতে বজায় থাকে, সেটা দেখাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তা বিঘ্নিত হয়নি। আর অন্য যে সমস্যার কথা বলা হচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।’’ পূর্ব রেলের এক আধিকারিকের দাবি, যাঁরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, তাঁদের দিয়েই ট্রেন চালানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy