দুর্গাপুরে প্রতিবাদ।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের বিরুদ্ধে এলাকা থেকে শুরু হয়েছিল সিটু ও আইএনটিইউসি-র ‘লং মার্চ’। কিন্তু পশ্চিম বর্ধমানের সে এলাকার চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কসেই (সিএলডব্লিউ) বুধবার ধর্মঘট প্রত্যাহারের কথা জানাল ধর্মঘটী শ্রমিক সংগঠনগুলি। বদলে হল ধর্না, অবস্থান। শ্রমিক-নেতাদের নেতৃত্বের অভিযোগ, ‘রেল বোর্ডের’ বিরোধিতার জেরেই এই সিদ্ধান্ত।
সিএলডব্লিউ-র জনসংযোগ আধিকারিক মন্তার সিংহ বলেন, ‘‘উৎপাদন ব্যাহত হয়নি। শ্রমিকেরাও কাজে যোগ দিতে বাধা পাননি।’’
কারখানার সিটু সম্পাদক রাজীব গুপ্ত ও আইএনটিইউসি সম্পাদক স্বপন লাহা বলেন, ‘‘সংগঠনের সর্বভারতীয় নেতৃত্বের নির্দেশে ধর্মঘটে না গিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে ধর্না-অবস্থান করা হয়।’’ সিটুর জেলা সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘ধর্মঘটের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রেল বোর্ড ধর্মঘটের বিরোধিতা করে। তাই ওখানে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়।’’ জেলার শিল্পাঞ্চল এবং খনি-ক্ষেত্রেও বন্ধের তেমন প্রভাব পড়েনি।
উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ চা-বাগান খোলা ছিল। চালু ছিল কোচবিহারের চকচকা শিল্পকেন্দ্র। হলদিয়া শিল্পাঞ্চল সচল ছিল। জাহাজ ঢোকা, বেরোনো-সহ হলদিয়া বন্দরের কাজকর্মও ছিল স্বাভাবিক। হাজিরা স্বাভাবিক ছিল সুতি এবং ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে।
রঘুনাথপুর, বড়জোড়া, বিষ্ণুপুর, খড়্গপুর শিল্পাঞ্চলে বন্ধের তেমন প্রভাব পড়েনি। ডানকুনি শিল্পাঞ্চলে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে এবং দিল্লি রোডের ধারে কয়েকশো কারখানা রয়েছে। সেখানে অনেক কারখানাতে কাজ হয়েছে।
তবে গ্রামীণ হাওড়া ও হুগলির চটকলগুলিতে উৎপাদন ব্যাহত হয়। ভদ্রেশ্বরের নর্থ শ্যামনগর, অ্যাঙ্গাস, ডালহৌসি চটকলের সামনে সকাল থেকেই বাম এবং কংগ্রেস সমর্থকেরা জড়ো হন। সে ভিড় দেখে অনেক শ্রমিক চটকলে ঢোকেননি। পর্যাপ্ত শ্রমিক না থাকায় উৎপাদন চালানো যায়নি। এ দিনের ধর্মঘটে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ২৫টি চটকলের মধ্যে ২৪টিতে উৎপাদন হয়নি। চালু ছিল কেবল বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ ‘নিয়ন্ত্রিত’ ভাটপাড়ার মেঘনা জুটমিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy