ছবি: সংগৃহীত।
বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়ারা গ্র্যাজুয়েট অ্যাপটিউট টেস্ট ইন ইঞ্জিনিয়ারিং তথা গেট নামক পরীক্ষার সঙ্গে যথেষ্ট পরিচিত। ২০২৫ সালে গেট আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে আইআইটি রুরকি। গেটের অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করা যাচ্ছে সেই খবর জানানোর জন্য আইআইটি রুরকির তরফে সকল গেট পরীক্ষার্থীদের ইমেল পাঠানো হয়। কিন্তু তাতেই বাধে গন্ডগোল। পরীক্ষার্থীদের নাম নেই। ইমেলে লেখা রয়েছে দক্ষিণ ভারতীয় খাবার ইডলি-চাটনি-সম্বরের নাম। সমাজমাধ্যমে ইমেলের সেই ছবিই ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
‘অভয় বিশাল আদিত্য আর.এস’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, সেই ছবিটি আইআইটি রুরকির তরফে গেট পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে পাঠানো ইমেল। গেটের অ্যাডমিট কার্ড ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে তা জানাতেই মেল করা হয়েছে। কিন্তু মেল পাঠানোর সময় পরীক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করা নেই। বরং সেখানে লেখা রয়েছে, ‘‘প্রিয় ইডলি চাটনি, সম্বর নয়।’’ তার পর অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোডের খবর জানিয়ে পড়ুয়াদের পরীক্ষার জন্য শুভেচ্ছাও জানিয়েছে।
মেলের স্ক্রিনশট সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে গেট আয়োজকের নজর কাড়লে আইআইটি রুরকির তরফে জানানো হয় যে, মেল পাঠানোর সময় যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়েছিল। তার ফলে পরীক্ষার্থীদের একাংশ এই ধরনের মেল পেয়েছেন। তবে দ্রুততার সঙ্গে সেই পরীক্ষার্থীদের সঠিক মেল পাঠানো হয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য ক্ষমাও চেয়েছে আইআইটি রুরকি। ছবিটি দেখে নেটাগরিকদের অধিকাংশ মজা করে লিখেছেন, ‘‘সম্বর আবার কী দোষ করল? ইডলির সঙ্গে খেতে তো ভালই লাগে। ওকে কি এ ভাবে বাদ দেওয়া ঠিক হল?’’
দেশ জুড়ে সমস্ত স্নাতকোত্তীর্ণ কারিগরি (ইঞ্জিনিয়ার) এবং বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়াদের মাস্টার ডিগ্রি এবং পিএইচডি অর্জন করার প্রবেশিকা পরীক্ষা হল গেট। বহু শিক্ষার্থীই এই পরীক্ষায় পাশ করে দেশের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (আইআইএসসি), ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এনআইটি)-তে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। প্রতি বছরে এক বারই এই পরীক্ষা আয়োজিত হয়ে থাকে।
পরীক্ষার মাধ্যমেই স্নাতকোত্তীর্ণ পড়ুয়াদের মেধা, দক্ষতা যাচাই করে নেওয়া হয়ে থাকে। প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করার পর প্রাপ্ত নম্বর পরবর্তী ৩ বছরের জন্য বৈধ থাকে। ওই নম্বরের ভিত্তিতেই সরকারি এবং স্বীকৃত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সরাসরি শিক্ষানবিশি এবং চাকরি, উভয়ের সুযোগ পেয়ে থাকেন পড়ুয়ারা। বিজ্ঞান এবং কারিগরি বিভাগের পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দেয় এই গেট পরীক্ষা। তবে এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় পাশ করার জন্য প্রয়োজন ধৈর্য এবং অধ্যবসায়। সে ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের পাঠ্যবইয়ের বাইরে ঘটতে থাকা যাবতীয় বিজ্ঞান এবং কারিগরি বিদ্যায় হয়ে চলা রদবদল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy