শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
দলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে টানাটানি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। শনিবার প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম ও মৃত্যু দিন উপলক্ষে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তৃণমূলের দুই শিবিরের তরফ থেকেই চিকিৎসক দিবসের আয়োজন করা হয়। তারই একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে দুই গোষ্ঠীর টানাটানির মধ্যে পড়ে যান রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী।
মেডিকেল কলেজ সূত্রে খবর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক দিবসে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব-এ রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন ও বিধায়ক নির্মল মাজি চিকিৎসক দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলেন। অন্য দিকে মেডিক্যাল কলেজের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে পাল্টা সভার আয়োজন করেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। শান্তনু-নির্মলদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব। কিন্তু ভুলবশত তিনি চলে যান সুদীপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে।
তত ক্ষণে শোভনদেবের অন্য শিবিরের অনুষ্ঠানে যোগদানের খবর পৌঁছে যায় শান্তনু-নির্মলদের কানে। তাদের শিবিরের লোকজন, মন্ত্রীকে বুঝিয়ে নিজেদের অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতে চান। এমন পরিস্থিতি দেখে বেজায় বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রবীণ রাজনীতিক শোভনদেব। ক্ষোভের সুরে বলেই ফেলেন, ‘‘আমি এ সব গ্রুপ করি না। নির্মলের সব প্রোগ্রামে আসি। এত দিন নির্মলের সবক'টা প্রোগ্রামে এলাম। আজ অন্য গ্রুপের লোক হয়ে যাব নাকি?’’
তবে শোভনদেব হাসপাতাল চত্বর ছেড়ে যাওয়ার পরেই বিতর্ক চাপা দিতে উদ্যোগ শুরু করে দুই শিবির। তাঁরা দাবি করেন, মেডিক্যাল কলেজে কোনও গ্রুপ নেই। তাঁরা সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসেবে কাজ করেন। সারা বছর মানুষকে পরিষেবা দেন। চিকিৎসক দিবস উপলক্ষে সংবাদমাধ্যমে যে বিভাজনের কথা উঠে এসেছে, তা ভিত্তিহীন। নির্মল ও সুদীপ্ত, দুই শিবিরের নেতারাই বার বার দাবি করেন, ‘‘এখানে কোনও শিবির নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy