তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নিতে দিল্লি যাচ্ছেন দলের দুই সাংসদ। তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন এবং বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল শুক্রবার জেলবন্দি অনুব্রতের সঙ্গে দেখা করবেন। দেখা করার জন্য তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের তরফে প্রয়োজনীয় অনুমতিও মিলেছে। সব কিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ তিহাড় জেলে যাবেন দোলা এবং অসিত। ১২টা পর্যন্ত তাঁদের সেখানে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের শাসকদলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে অবশ্য এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। সূত্রের খবর, গরু পাচার মামলায় তিহাড় জেলেই বন্দি অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন তৃণমূল সাংসদরা।
কেন দুই নেতার দিল্লি সফর? দলে ‘দক্ষ সংগঠক’ হিসাবে পরিচিত অনুব্রত একাধিক ভোট বৈতরণী পার করিয়েছেন বলে মনে করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত এবং জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দিলেও গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রতের ক্ষেত্রে তেমন কোনও পদক্ষেপ করেনি দল। বরং, বীরভূমের জেলা সভাপতি হিসাবে তাঁকেই রেখে দিয়েছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বহু বার প্রকাশ্যেই তাঁর পাশে দাঁড়ানোর ‘ইঙ্গিত’ দিয়েছেন। এর আগে দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত দলের দুই যুবনেতাকেও বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল। সে দিক থেকে দেখতে গেলে এই প্রথম দলের জেলবন্দি কোনও নেতাকে দেখতে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছেন, দলের উচ্চ নেতৃত্বের অনুমোদনক্রমেই অনুব্রতকে দেখতে যাচ্ছেন দুই সাংসদ। দল যে এই ‘বিপদের দিনে’ও অুনুব্রতsর পাশে আছে, সেই বার্তাই যেন দিতে চলেছে দলীয় প্রতিনিধিদের তিহাড়-সফর। শিয়রেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে দল যে তাঁর ‘পাশে’ আছে, তৃণমূলের তরফে অনুব্রতকে সেই বার্তাও দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবারই গরু পাচার মামলায় সুকন্যার জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। অনুব্রতের জামিনের আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানিও স্থগিত হয়ে যায় বৃহস্পতিবার। সোমবার থেকে আদালতে গরমের ছুটি পড়ে যাওয়ায় আগামী এক মাসে আর এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই মনে করা হচ্ছে, গোটা জুন মাসই তিহাড় জেলেই কাটাতে হবে অনুব্রত এবং সুকন্যাকে।
কিছু দিন আগেই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়েই রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন অনুব্রত। বৃহস্পতিবার যার শুনানি শুরু হয় আদালতে। কিন্তু মাঝপথেই তা স্থগিত হয়ে যায়। এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy