যন্ত্রে সোনা দিলেই পাওয়া যাবে নগদ অর্থ। মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই সোনার ওজন মেপে তার মূল্য নির্ধারণ করে জানিয়ে দেবে যন্ত্র। সেই টাকা সরাসরি চলে যাবে বিক্রেতার অ্যাকাউন্টে। চিনে প্রথম বারের জন্য চালু হল গোল্ড রিসাইক্লিং এটিএম। সোনার গয়না বিক্রির জন্য আর দোকানে দোকানে ঘুরে বেড়াতে হবে না বিক্রেতাকে। এই প্রযুক্তিতে ঝামেলা ছাড়াই দ্রুত সোনার বদলে নগদ অর্থ পেয়ে যাবেন গ্রাহকেরা, এমনটাই দাবি উঠেছে। সাংহাইয়ের গ্লোবাল হারবার শপিং মলে বসানো হয়েছে যন্ত্রটি। চিনা সংস্থা কিংহুড গ্রুপ তৈরি করেছে এই যন্ত্রটি। কী ভাবে সোনা দিয়ে টাকা পাওয়া যাচ্ছে, সেই পদ্ধতি দেখানোর একটি প্রদর্শনী শুরু হয়েছে শপিং মলে।
আরও পড়ুন:
প্রদর্শনী চলাকালীন, একটি ৪০ গ্রামের সোনার নেকলেস প্রতি গ্রামে ৭৮৫ ইউয়ান (প্রায় ৯,২০০ টাকা) দরে বিক্রি হয়েছিল। মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে ৩৬ হাজার ইউয়ানেরও বেশি বা প্রায় ৪.২ লক্ষ টাকা পেলেন বিক্রেতা। সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে। অনেকেই সেই ভিডিয়োটি দেখেছেন। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। প্রায় ১১ লক্ষ বার দেখা হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। সোনার বিশুদ্ধতা বিশ্লেষণ, ধাতু গলানো এবং ওজন করার জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে যন্ত্রটি। কমপক্ষে ৫০ শতাংশ সোনা থাকবে, এমন গয়না বা বাট যন্ত্রটিতে দিতে হবে। ওজন হতে হবে ৩ গ্রামের বেশি।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, যন্ত্রটি পরীক্ষা করার জন্য প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিলেন প্রদর্শনীতে। বিশ্বব্যাপী ঊর্ধ্বমুখী সোনার দামের কারণে চিনের বহু বাসিন্দা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সোনা বিক্রি করার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন। যন্ত্রটি ব্যবহারের জন্য সমস্ত অ্যাপয়েন্টমেন্টের স্লট মে মাস পর্যন্ত বুক করা হয়েছে। এই ঘটনাই প্রমাণ করে দিয়েছে যন্ত্রটির কতটা চাহিদা রয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চিনের বৃদ্ধ নাগরিকদের মধ্যেই এই বিষয়ে বেশি আগ্রহ দেখা দিয়েছে। ভিডিয়োটি দেখে ভারতীয় শিল্পপতি হর্ষ গোয়েন্কাও এর প্রশংসা করেছেন বলে জানা গিয়েছে।