ধৃত সাকেত গোখলের সঙ্গে দেখা করতে গুজরাতে তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দল। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
মোরবীতে সেতু বিপর্যয় নিয়ে একটি টুইট করার অভিযোগে গুজরাত পুলিশের হাতে গ্রেফতার দলীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলের সঙ্গে দেখা করতে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের রাজ্যে গেল তৃণমূলের ৫ সাংসদের প্রতিনিধিদল। শান্তনু সেন, দোলা সেন, খলিলুর রহমান, সুনীল মণ্ডল এবং অসিত মাল রয়েছেন এই দলে।
তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, গুজরাতে গিয়ে ধৃত সাকেতের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা এবং আইনি সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি, মোরবীর সেতু দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে পারেন শান্তনুরা। এরই পাশাপাশি, বিজেপিশাসিত গুজরাতের পুলিশের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে আগামী ১২ ডিসেম্বর (সোমবার) নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার ছিল গুজরাতে বিধানসভা ভোটের গণনা। সেই প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা। তৃণমূলের অভিযোগ, মোদী-শাহের রাজ্যের পুলিশ এ ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিধি ভেঙেছে। তাই তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধিদল কমিশনের দফতরে গিয়ে অভিযোগ জানাবে। দলের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গুজরাতে আদর্শ আচরণবিধি এখনও কার্যকর রয়েছে! আসলে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ভাবে আত্মসমর্পণ করেছে, ক্রমাগত বিজেপির অনুগত হিসাবে কাজ করে চলেছে।’’
প্রসঙ্গত, গুজরাতের মোরবীতে সেতু বিপর্যয় নিয়ে একটি টুইট করার অভিযোগে গত মঙ্গলবার ভোররাতে রাজস্থানের জয়পুর বিমানবন্দর থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র সাকেতকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাত পুলিশ। এর পর আমদাবাদের একটি আদালতে হাজির করানো হলে, শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত তাঁকে পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এর পর শুক্রবার সাকেতের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। কিন্তু জামিনে মুক্তি পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গুজরাত পুলিশ তাঁকে ফের গ্রেফতার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় বলে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের অভিযোগ।
যে টুইটের জন্য সাকেতকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব, সেটি গত ১ ডিসেম্বর নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করেছিলেন সাকেত। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘গুজরাতে মোরবী সেতু ভাঙার পর সেখানে মোদীর পরিদর্শনের জন্য ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। যার মধ্যে সাড়ে ৫ কোটি খরচ হয়েছে শুধু মাত্র মোদীকে অভ্যর্থনা জানানোর অনুষ্ঠান এবং ছবি তোলার জন্য। যেখানে মোরবী সেতু ভেঙে মৃত ১৩৫ জনকে মোট ৫ কোটি টাকার এককালীন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।’’
সাকেত ওই টুইটে লিখেছিলেন, ‘‘শুধু মোদীকে স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠানের দাম ১৩৫ জনের জীবনের থেকে বেশি!’’ সম্প্রতি ওই টুইটটিকে ভুয়ো বলে দাবি করে একটি পাল্টা টুইট করেছিল পিআইবি ফ্যাক্ট চেক নামে টুইটারের একটি ব্লু টিক দেওয়া ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট।
এর পাশাপাশি গত ১৭ সেপ্টেম্বর মোদীর জন্মদিনে আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে চিতাবাঘ আনানো নিয়েও একটি টুইট করেছিলেন সাকেত। আরটিআই (তথ্য জানার অধিকার আইন)-এর মাধ্যমে পাওয়া তথ্য এবং একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে সাকেত লিখেছিলেন, চিতা-চুক্তির বিনিময়ে হাতির দাঁতের ব্যবসার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy