Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Narendra Modi

জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য দিন, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি তৃণমূল সাংসদ সৌগতের

জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, নির্দিষ্ট দামে প্রত্যেকে চাল, গম, বাজরা বা মাইলো মিলিয়ে পাঁচ কেজি খাদ্যশস্য পাবেন। চাল মিলবে তিন টাকা দরে, গম পাওয়া যাবে দু’টাকায়, আর বাজরা-মাইলো এক টাকা দরে পাবেন।

TMC MP Saugata Roy\\\\\\\\\\\\\\\'s letter to Prime Minister Narendra Modi to give consumers extra food grains under food security scheme

(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী-সৌগত রায়। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৩৬
Share: Save:

জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে (এনএফএসএ) রেশন গ্রাহকদের জন্য অতিরিক্ত খাদ্যশস্য দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। গত ১৯ এপ্রিল তিনি এই দাবিতে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।

জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, রেশন কার্ড থাকলেই মানুষ এই সুবিধা পেতে পারবেন। সুবিধা বলতে, নির্দিষ্ট দামে প্রত্যেকে চাল, গম, বাজরা বা মাইলো মিলে পাঁচ কেজি খাদ্যশস্য পাবেন। চাল মিলবে তিন টাকা দরে, গম পাওয়া যাবে দু’টাকায়, আর বাজরা-মাইলো এক টাকা দরে পাবেন। ৮০ কোটি ৩৫ লক্ষ মানুষ এই পরিষেবা পাওয়ার অধিকারী। পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের রেশন গ্রাহকদের সংখ্যা ছ’কোটি এক লক্ষ ৭৬ হাজার ৫৮ জন। দ্বিতীয় ইউপিএ জমানায় এ বিষয়ে আলোচনা হলেও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ তা চালু করে যাননি। ক্ষমতায় এসেই জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন চালু করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি সেই আইন চালু হয় পশ্চিমবঙ্গে।

TMC MP Saugata Roy's letter to Prime Minister Narendra Modi to give consumers extra food grains under food security scheme

প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো সৌগত রায়ের সেই চিঠি। ছবি: সংগৃহীত।

২০২০ সালে করোনা অতিমারির সময় কেন্দ্রীয় সরকার ৮০ কোটি ৩৫ লক্ষ গরিব মানুষকে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য বরাদ্দ করে বিনামূল্যে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার (পিএমজিকেএওয়াই) অধীনে পাঁচ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মোদী। এই প্রকল্পে বিনামূল্যে পাঁচ কেজি চাল ও গম দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে ন্যূনতম দামে যে খাদ্যশস্য দেওয়া হত, তা বন্ধের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় খাদ্য মন্ত্রক। তবে পিএমজিকেএওয়াই প্রকল্পে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া চালু রাখে সরকারপক্ষ।

এ ক্ষেত্রে দমদমের বিদায়ী সাংসদ সৌগত দাবি করেছেন, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে ন্যূনতম মূল্যে যে পরিমাণ খাদ্যশস্য দেওয়া হত, তা পুনরায় চালু করা হোক। কারণ পিএমজিকেএওয়াই প্রকল্পে যে পরিমাণ খাদ্যশস্য দেওয়া হচ্ছে, তা একটি গরিব পরিবারের জন্য যথেষ্ট নয়। রেশন ডিলারদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু সাংসদ সৌগতের এই চিঠি পাঠানোকে যুক্তিযুক্ত বলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনেই দেশের রেশন ব্যবস্থা চলছে। সেই আইনেই নূন্যতম মূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হত। আইন বলবৎ রয়েছে, কিন্তু সেই আইনে খাদ্যশস্য দেওয়া বন্ধ। এই বিষয়টি আমাদের কাছে এখনও বোধগম্য হচ্ছে না।’’ করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যেক গ্রাহককে অতিরিক্ত পাঁচ কেজি খাদ্যশস্য দেওয়া শুরু করে। পরবর্তী কালে সেটা বন্ধ করে শুধু সাধারণ বরাদ্দ বিনামূল্যে প্রদান চালু করে কেন্দ্র। এই ব্যবস্থা আগামী পাঁচ বছর চলবে বলে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy