ডাক পেয়েও অভিষেকের বৈঠকে এলেন না প্রবীণ বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। ফাইল চিত্র।
‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক করিম চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে ‘সমস্যা’ মেটানোর নির্দেশ দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুর রওনা হওয়ার আগে ইটাহারের অস্থায়ী শিবিরে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের ৩০ জন নেতাকে বৈঠকে ডেকেছিলেন তিনি। সেই বৈঠকে ডাকা হয়েছিল ইসলামপুরের প্রবীণ তৃণমূল বিধায়ককেও। কিন্তু তিনি আসেননি। বৈঠকে তাঁর উপস্থিতির কথা জানতে চান অভিষেক। পরে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি কানহাইলাল আগরওয়ালকে নির্দেশ দেন, বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে আলাদা করে কথা বলার। কী কারণে তাঁর ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে কথা বলতে বলেছেন অভিষেক।
দলের একটা অংশের দাবি, জেলা তৃণমূল সভাপতির সঙ্গে সম্পর্ক ভাল নয় করিমের। ২০১৬ সালে ইসলামপুরে কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে করিমকে হারিয়েছিলেন কানহাইয়ালাল। পরে তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। তাঁর তৃণমূলে যোগদানের সঙ্গে সঙ্গেই তৃণমূল ছেড়ে নিজের দল তৈরির ঘোষণা করেছিলেন করিম। সেই কানহাইয়ার হস্তক্ষেপে তাঁর ক্ষোভ কতটা মিটবে তা নিয়ে সন্দিহান জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ।
২০১৯ সালে ইসালমপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রায়গঞ্জ লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থী হন কানহাইয়ালাল। তাঁর ছেড়ে দেওয়া ইসলামপুর আসনে ফের তৃণমূল প্রার্থী হন করিম। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে সে বার তৃণমূলে ফিরেছিলেন তিনি। ২০২১ সালেরও ইসালামপুর বিধানসভা থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে জিতেছিলেন। যদিও মন্ত্রিসভায় তিনি জায়গা পাননি। উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকে গোলাম রব্বানি ও সত্যজিৎ বর্মণকে রাজ্য মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়েছে। যদিও বর্তমান বিধানসভায় সবচেয়ে প্রবীণ বিধায়ক করিমই।
বেশ কিছু দিন ধরেই দলের প্রতি বিমুখ করিম। রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়েই অভিষেকের ‘জনসংযোগ যাত্রা’ কর্মসূচি ছিল। করিম ‘রেড কার্পেট’ বিছিয়ে আশায় ছিলেন তাঁর বাড়িতে এসে তাঁকে নিয়ে সভায় যাবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু ইসলামপুরে সভা করেই নিজের পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন অভিষেক। আর তাতেই ‘অভিমানী’ করিম সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
দলীয় সূত্রে খবর, সেই ক্ষোভেই করিম ইটাহারে ডাকা অভিষেকের বৈঠকে গরহাজির ছিলেন। সম্প্রতি বিধায়কদের দলের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন বিধানসভায় উপস্থিত হন না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে বিতর্ক বাড়িয়েছিলেন করিম। ইসলামপুরে দলীয় কোন্দলে এক সিভিক ভলান্টিয়ার খুনের ঘটনায় দলের একাংশের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। আবার ইসলামপুর ব্লকের সভাপতির নাম ঘোষণা হওয়ার পরেও দল ছাড়ার হুমকিও দিয়েছিলেন। এ বার সরাসরি অভিষেকের বৈঠক বয়কট করে আবারও বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy