প্রচারে পাপিয়া (নীল শাড়ি)। নিজস্ব চিত্র
খড়্গপুর বিধানসভা উপ-নির্বাচনে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে প্রচার চালাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। প্রচারে নেমেছেন খোদ দলের দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে নেমেছেন ৫৪জন পর্যবেক্ষক, ১৪ জন বিধায়ক, জেলার প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীরাও। তার পরেও নিশ্চিন্ত হতে পারছে না তৃণমূল। এ বার তৃণমূল প্রার্থী স্বামীর হয়ে প্রচারে নামলেন পুরপ্রধানের স্ত্রী!
গত কয়েকদিন ধরেই শহরের অলি-গলিতে স্বামীর হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকারের স্ত্রী পাপিয়া। রাজনীতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। তাতে কী! বান্ধবীদের সঙ্গে নিয়ে প্রচার শুরু করেছেন পাপিয়া। মূলত আলোচনার মাধ্যমে প্রার্থী প্রদীপ সরকারের হয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন মহিলা ভোটারদের কাছে। তুলে ধরছেন, তাঁর স্বামী পুরপ্রধান হিসাবে শহরের উন্নয়নে কী ভূমিকা পালন করেছেন। পাপিয়ার কথায়, “আমি কোনওদিন রাজনীতিতে যুক্ত ছিলাম না। এখনও তৃণমূলের সদস্য নই। কিন্তু এ বার শহরের উন্নয়নের জন্য আমার স্বামীকে ভোট দিতে সাধারণ মহিলাদের কাছে যাচ্ছি। আমার স্বামী পুরপ্রধানের পদে থেকে যে উন্নয়ন করেছে বিধায়ক হলে আরও বেশি উন্নয়ন করতে পারবেন।’’
নিজের ‘খাসতালুক’ রেলশহরে সম্মানের লড়াই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও। বারবার ছুটে আসছেন তিনি। বিজেপি সূত্রে খবর, শহরে কাজ করছেন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রাষ্ট্রীয় সয়ংসেবক সঙ্ঘের ৭০ জন সদস্য। এ ছাড়াও শহরে থেকে প্রচার চালাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রবিবার থেকে শহরে প্রচার চালাচ্ছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সোমবারও তিনি শহরের খরিদা থেকে ইন্দা পর্যন্ত একাধিক ওয়ার্ডে প্রার্থীর সঙ্গে প্রচার করেছেন। মুকুল বলেন, “খড়্গপুরে ২০১৬ সালে ৬ হাজার ভোটে বিজেপির লিড ছিল। তখন কংগ্রেস-সিপিএম একসঙ্গে লড়াই করেছিল। এ বারও জোট হয়েছে। তবে এ বার ৬ হাজার থেকে লিড অনেক বাড়বে।”
তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে তাঁর স্ত্রীয়ের জনসংযোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না গেরুয়া শিবির। বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝা বলেন, “প্রদীপ সরকার দুর্নীতি করে যে কোটি টাকার বাড়ি করেছেন সেই বাড়িতে স্ত্রী থাকছেন। তাই তিনি তো স্বামীর হয়ে প্রচার করবেনই।” এ দিন তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার প্রচারে বেরিয়ে জনসংযোগে শহরের বিভিন্ন শিব-দুর্গা মন্দিরে চলা পুজোয় ভোগ বিতরণ করেছেন। সেই প্রচারের ফাঁকে স্ত্রীয়ে প্রচারের বিষয়ে বিজেপির কটাক্ষ প্রসঙ্গে প্রদীপ বলেন, “বিজেপির কথায় গুরুত্ব দিচ্ছি না। আমার হয়ে প্রায় দেড়শো জন অরাজনৈতিক মানুষ প্রচার চালাচ্ছেন। সেই প্রচারে মানুষ জয় নিশ্চিত করে দিয়েছে। বিজেপি ২৮ নভেম্বর সেটা বুঝে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy