কড়া আক্রমণ চিরঞ্জিতের —প্রতীকী ছবি।
সাগরগিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূলে। দলের অভিনেতা-বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী বিষয়টিকে ‘লোকঠকানো’ বলে মনে করছেন। মঙ্গলবার নিজের বক্তব্য তিনি সংবাদমাধ্যমেও জানিয়েছেন। বারাসতের বিধায়ক বলেন, ‘‘এ ভাবে দলবদল করা আমি পছন্দ করি না। এটা লোকঠকানো। মানুষ তো তাঁকে একটা প্রতীক দেখে ভোট দিয়েছে। তিনি যদি দলবদল করেন তা হলে আসলে মানুষকেই অপমান করা হয়।’’ তবে তৃণমূল মুখপাত্র তথা দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, ‘‘এটা দলবদল নয়। বাইরন তৃণমূলের ছিলেন, তৃণমূলেরই রয়েছেন।’’
প্রসঙ্গত, সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে ফেরেন বাইরন। মাত্র তিন মাস আগেই সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তিনি তৃণমূলের প্রার্থীকে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পাশে বসে সোমবার সাংবাদিক বৈঠকও করেন বাইরন। এর পরেই রাজ্য রাজনীতিতে হইচই পড়ে যায়। জাতীয় রাজনীতিতেও এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার তথা বিজেপির বিরুদ্ধে যখন বিভিন্ন দলকে সঙ্গে নিয়ে জোট বাঁধার কথা বলছে তৃণমূল, যেখানে কংগ্রেসের থাকার সম্ভাবনা নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে, সেই সময়ে রাজ্যে কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়কের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ মঙ্গলবার সকালেই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে টুইট করেন। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দেন, এটা স্থানীয় রাজনীতি, জাতীয় ক্ষেত্রে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। মমতা বলেন, ‘‘এটা স্থানীয় নেতৃত্বের বিষয়। তাঁরাই উত্তর দিতে পারবেন। আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানি না, কাগজে দেখেছি।’’
এরই মধ্যে চিরঞ্জিতের মন্তব্য। এর আগে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সময়ও সরব হয়েছিলেন চিরঞ্জিৎ। মঙ্গলবার সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘এক জন একটা দলের এমপি। তিনি আবার অন্য দল করছেন। এটা হয় কী করে!’’ সেই সঙ্গে বলেন, ‘‘তুমি বদল তো করতেই পারো। তার পরে একটা কিছু থাকা উচিত যেটা বাধা হিসাবে থাকবে। অর্জুন সিংহের ক্ষেত্রে আমি বলেছিলাম, এক বছর রাখার পরে তাঁকে কোনও পদ দেওয়া যেতে পারে।’’ শুধু নিজের দলই নয়, বাকি দলেরা মিলেও এই ব্যাপারে একটা কিছু ঠিক করা উচিত, কোনও কমিটি তৈরি করা দরকার বলেও মন্তব্য করেন চিরঞ্জিৎ।
চিরঞ্জিতের মন্তব্য নিয়ে কুণাল বলেন, ‘‘বাইরন তো তৃণমূলেরই। তৃণমূলের টিকিট চেয়েছিল, তৃণমূলের লোকেরাই ওঁর হয়ে ভোট করেছেন। আমরা নিজেদের প্রতীকে জেতাতে পারিনি। ফলে এটাকে দলবদল না ভেবে বলা উচিত, তৃণমূলের ছেলে তৃণমূলেই রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy