বিতর্কিত: যোগী আদিত্যনাথের সভার আগে শনিবার মঞ্চের পিছনে জমে রয়েছে সেচের জল। রায়গঞ্জে। নিজস্ব চিত্র
যোগী আদিত্যনাথের সভার মাঠে জল ঢালা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলল বিজেপি। আজ, রবিবার রায়গঞ্জের কাশীবাটির এক চাষের জমিতে সভা করার কথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর। দলের স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ, সভাস্থলের জমির পাশে আর একটি জমিতে সেচ দেওয়ার নামে পাম্প দিয়ে জল ঢালা হয়েছে। সভার মাঠে যাতে ওই জল ঢুকতে না পারে, সেজন্য শনিবার দুপুরে বিজেপির তরফে ফের ওই জমির চারিদিকের সীমানায় মাটি দিয়ে উঁচু করে আল তৈরি করা হয়েছে। এই ঘটনায় বিজেপির অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। পাশাপাশি, এ দিনই রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। বিজেপির অভিযোগ, সেখানে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী আসবেন বলে রায়গঞ্জ পুর কর্তৃপক্ষ শহরে কোনও রকম ব্যানার, পোস্টার, পতাকা লাগাতে, দলীয় তোরণ তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যোগীর সভা ম্লান করতে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা এ ধরনের অগণতান্ত্রিক কাজ করছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের।
জমিটের আসল মালিক বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীর। ওই জমির লিজপ্রাপ্ত মালিক ওই এলাকার বাসিন্দা জগন্নাথ সিংহ। ওই জমিতে মাটি ফেলে সমান করে সেখানে মঞ্চ তৈরির কাজও শেষ করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের চাপে ওই এলাকার বাসিন্দা জগন্নাথ শুক্রবার রাত থেকে এ দিন দুপুর পর্যন্ত পাম্প দিয়ে সভামঞ্চের একেবারে পিছনের জমিতে জল দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে জগন্নাথ স্পষ্ট করে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁর দাবি, ‘‘দেড়বিঘা জমি লিজ নিয়ে চাষ করি। জমিতে জল না দিতাম তাহলে হয়তো ওই জমিতে পরবর্তীতে চাষবাসের কাজ করতে পারতাম না। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের দাবি, ‘‘জেলায় বিজেপির কোনও সংগঠন নেই। তাই যোগী-ভোগীদের সভা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ওই সভামাঠের পিছনের জমিতে জল দিয়ে সভা ভণ্ডুলের চেষ্টা হয়েছে।’’
অন্যদিকে, আজই রাজ্যপালের আসার কথা রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর দাবি, ‘‘যোগীর সভাকে ম্লান করতে পুরসভা অগণতান্ত্রিক ভাবে নির্দেশ জারি করেছে। যোগীকে অভ্যর্থনা ও স্বাগত জানাতে শহরে দলীয় পতাকা, ফেস্টুন ও তোরণ লাগাবে বিজেপি। কেউ বাধা দিলে দেখা যাবে।’’ পুরপ্রধান তৃণমূলের সন্দীপ বিশ্বাসের পাল্টা দাবি, ‘‘সমস্ত রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই একই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। শহরে রাজ্যপালের আগমনকে স্মরণীয় ও বরণীয় করে তোলার জন্য ওই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। কোনও রাজনৈতিক দল শহরে দলীয় পতাকা, ফেস্টুন ও তোরণ লাগালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
আরও পড়ুন: দলের ক্ষোভের মুখে জেলা সভাপতি ডালু
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy