ছবি পিটিআই।
‘মিশন অর্জুন’ শুরু হয়েছিল গত জানুয়ারির গোড়ায়। তখন লোকসভার অধিবেশন চলছে। সে সময় তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক নেতা কথা বলতে শুরু করেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের সঙ্গে। অর্জুন সম্প্রতি কলকাতায় তৃণমূলের উত্তরীয় নেওয়ার পরে, এমনটাই দাবি করেছে বঙ্গের শাসকদলের একটি সূত্র। পাশাপাশি, এ কথাও বলা হচ্ছে, গোটা অপারেশনটি হয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে।
তৃণমূল অন্দরে নেতৃত্ব নিয়ে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বিতর্ক এখন কার্যত অতীত। অভিষেক শিবিরের দাবি, জাতীয় রাজনীতিতে যে ভাবে বিভিন্ন রাজ্যে পায়ের ছাপ বাড়াতে চাইছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, তাতে মমতার আপত্তি তো নেই-ই, বরং অনুমোদন রয়েছে। অর্জুনকে যে ভাবে ধাপে ধাপে বিজেপি থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়া কয়েকমাস তৃণমূলের তরফে চালানো হল, সেই দায়িত্ব তিনি অভিষেকের উপরেই ন্যস্ত করেন। তিন বছর দু’মাস পর অর্জুনের যখন ‘ঘরওয়াপসি’ হল, তখন তিনি ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসেই যান। অর্জুন আসার দেড় ঘণ্টা আগে উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গেও দীর্ঘ বৈঠক করেন অভিষেক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক থেকে বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী।
সূত্রের মতে, অর্জুনকে কাজে লাগিয়ে অধিকারী পরিবারের উপর চাপ তৈরি করাই আপাতত তৃণমূলের লক্ষ্য। অর্জুনের বক্তব্য, আগে শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী (যাঁরা তৃণমূল থেকে বিজেপি গিয়েছেন কিন্তু এখনও সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেননি) পদত্যাগ করুন, তার ঠিক পরেই তিনি নিজে দলবদল করার কারণে সাংসদ পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। সূত্রের বক্তব্য, এখন রাজ্যে যা হাওয়া, তাতে তিনটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হলে (কাঁথি, তমলুক এবং ব্যারাকপুর) বিজেপি-র প্রার্থীর পরাজয়ের সম্ভাবনাই বেশি। ফলে চাপ বিজেপি-র উপরে।
তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, অভিষেকের নির্দেশনায় তৃণমূলেরই কোনও এক নেতা দিল্লিতে এবং কলকাতায় গত কয়েকমাস ধারাবাহিক ভাবে অর্জুনের সঙ্গে কথা বলে গিয়েছেন। চিত্রনাট্যের নকশা তৈরি করেছেন। সেই অনুযায়ী প্রাথমিক ভাবে পাটের সর্বোচ্চ মূল্য বেঁধে দেওয়ার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে অর্জুন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা পীযূষ গয়ালের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেন। তারপর বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডার মতো শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক করে তাঁর রাজনৈতিক অসন্তোষের কথাও বলেন। এমনকি, রাজ্যে বিজেপি-র উন্নতিকল্পে একটি রিপোর্টও তাঁর কাছে জমা দেন। এই প্রতিটি ধাপে নতুন জল্পনা তৈরি হয়, যা প্রচারমাধ্যমে আসে। বাড়ে রাজনৈতিক উত্তাপ। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা বিষয়টিও নাটকীয় হয়ে ওঠে, যার রাজনৈতিক লাভ কুড়োয়মমতার দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy