সাগরদিঘিতে হারের পরেই কারণ জানতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল। ফাইল চিত্র।
সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে পরাজয়ের পরেই নড়েচড়ে বসেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। হারের কারণ জানতে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁচ সদস্যের কমিটির গড়ে দ্রুত রিপোর্ট তলব করেছিলেন। তার জেরেই বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার আবার বিধানসভায় বৈঠকে বসেছিল সেই কমিটি। বিধানসভায় মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর ঘরে বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান, সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান এবং সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানী বৈঠক করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক হয়।
সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই হারের ২৫টি কারণ অনুসন্ধান করেছে কমিটি। ২৫টি কারণ উল্লেখ করে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করা হবে। রিপোর্ট তৈরি হয়ে গেলে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া হবে। কমিটির তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে। সোমবার বিধানসভায় কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে দ্রুত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই চলতি সপ্তাহে রিপোর্ট তৈরি করে আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকেই মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ওই রিপোর্ট পৌঁছে দিতে চান কমিটির সদস্যেরা।
কমিটির সূত্রে খবর, ২৫টি কারণের মধ্যে একটি কারণ হল সাগরদিঘিতে তৃণমূল কর্মীদের একাংশের নিষ্ক্রিয়তা। একাংশ কর্মীর নিষ্ক্রিয়তার কারণে তার প্রভাব পড়েছিল সাগরদিঘির ভোটারদের মধ্যে। ফলস্বরূপ তৃণমূল প্রার্থীর পক্ষে ভোট সংগঠিত করতে পারেননি ভোটের দায়িত্বে থাকা নেতারা। এ ছাড়াও রিপোর্টে সাগরদিঘির প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে সংখ্যালঘু ভোট কংগ্রেসের বাক্সে চলে যাওয়া নিয়েও নিজেদের মতামত দিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। তবে রিপোর্টে যে ২৫টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে, তা জানাতে চাননি কমিটির কোনও সদস্য।
কমিটির অন্যতম সদস্য মন্ত্রী জাভেদ বলেন, “সাগরদিঘির হারের ময়নাতদন্ত করে আমরা যে সমস্ত বিষয়গুলি জানতে পেরেছি তা ওই রিপোর্টে উল্লেখ করে দেওয়া হবে। আমরা এর বেশি কিছু জানাতে পারব না।” উল্লেখ্য, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের কাছে ২২,৯৮০ ভোটে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই হারের পরেই কারণ জানতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল। ইতিমধ্যে জঙ্গিপুর জেলা তৃণমূলের তরফে সাগরদিঘিতে পরাজয়ের পরেই একটি বৈঠক করা হয়েছে। আগামী শনিবার আবারও একটি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy