নিজস্ব চিত্র।
মালদহ জেলা পরিষদের ক্ষমতা দখল নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি-র মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চলছে তৃণমূল। জোড়া ফুল নেতাদের দাবি, অন্য যে সব সদস্য দল পরিবর্তন করে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধেও অনাস্থা আনা হবে। যদিও জেলা বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, জেলা পরিষদ তাদের দখলে রয়েছে।
মালদহ জেলা পরিষদে মোট আসন ৩৮টি। ভোট হয়েছিল ৩৭টি আসনে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ২৯টি আসন পায় তৃণমূল। কংগ্রেস ২টি ও বিজেপি ৬টি আসন পায়। সভাধিপতি নির্বাচিত হন গৌড়চন্দ্র মণ্ডল। কিন্তু ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরই গৌড়-সহ ১৫ জন সদস্য বিজেপি-তে যোগ দেন। ফলে বিজেপি দাবি করে, জেলা পরিষদ তাদের দখলে হয়েছে। পরবর্তীতে বিজেপি থেকে ২ জন ফের তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূল ও বিজেপি, দু’দলই দাবি করেছে জেলা পরিষদ তাদের দখলে রয়েছে।
জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর হেমন্ত শর্মা বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর আড়াই বছর হতে চলেছে। তাই অনাস্থা আনার ক্ষেত্রে আর কোনও আইনি জটিলতা থাকবে না। জেলা পরিষদের সভাধিপতি-সহ বিজেপি-তে চলে যাওয়া সদস্যদের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার প্রস্তুতি চলছে।’’
যদিও বিজেপি-র জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘২১টি আসন আছে আমাদের। অর্থাৎ জেলা পরিষদ আমাদের দখলে রয়েছে। ওরা অনাস্থা আনতেই পারে। সময় এলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে দেব।’’ অন্য দিকে মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলেন, ‘‘ওদের কাজ ওরা করবে। সব কিছু গায়ের জোরে করা যায় না। ঠিক সময়ে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy