শনিবার সকালে মহকুমা শাসক সহ টাস্কফোর্সের অভিযান বহরমপুরের স্বর্ণময়ী বাজারে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
আলু পেঁয়াজের দাম নিয়ে দু’দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীকে সরব হতে দেখা গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, আলু পেঁয়াজ সহ আনাজের দাম নিয়ন্ত্রণে মুথ্য সচিব মনোজ পন্থকে টাস্ক ফোর্সের বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার কলকাতায় টাস্ক ফোর্সের বৈঠকও হয়েছে। এ বারে বহরমপুরের মহকুমা শাসক শুভঙ্কর রায়ের নেতৃত্বে শনিবার সকালে টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধি দল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের সামনের স্বর্ণময়ী বাজারে হানা দেন।
সেখানে বেশ কিছু ব্যবসায়ী আলু পেঁয়াজের দাম বেশি নিচ্ছেন বলে তাঁরা জেনেছেন। আবার কেউ কেউ কম দামেও আনাজ বিক্রি করছেন। তাঁরা গোরাবাজারের নিমতলা আনাজ বাজারও পরিবদর্শন করেছেন। মহকুমা শাসক জানিয়ে দিয়েছেন মাঝে মধ্যে এমন অভিযান চলবে। কেউ দাম বেশি নিলে পদক্ষেপ করা হবে। পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন।
খুচরো ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, তাঁরাও বেশি দামে আনাজ কিনছেন, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারি বাজারে কেন দাম বেশি নিচ্ছে সেই খোঁজ প্রশাসন নিক।
মহকুমা শাসক বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। আলু পেঁয়াজ সহ আনাজের দাম যাতে বেশি না নেন সে কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। তাঁরাও যাতে বেশি দাম না নেন, তা আগেই বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে এ রকম অভিযান চালানো হবে।’’ প্রশাসন সূত্রের খবর, খুচরো ব্যবসায়ীদের ওজন যন্ত্র (দাঁড়ি পাল্লা) খতিয়ে দেখা হয়েছে। কারও কারও রিনিউয়ালের মেয়াদ পার বলেও রিনিউ করাননি। তাঁদের দ্রুত রিনিউ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাসিন্দারা বলছেন, আলু ৩৫ টাকা কেজি দামে কিনতে হচ্ছে। রসুন ৪০০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ কেজি পিছু ৬৫ টাকার উপরে রয়েছে। বেগুন ৮০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, টোম্যাটো ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া অন্য আনাজের দামও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy