এ দিকে ‘নির্দল’ প্রার্থীদের সম্পর্কে এ দিন শাসকদলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, ‘‘নির্দল প্রার্থী দেওয়ার পিছনে শাসক দলেরই হাত রয়েছে। ওই নির্দল প্রার্থীরা জিতলে গণনা কেন্দ্রেই তৃণমূলে যোগ দেবেন।”
ফাইল চিত্র।
প্রথমে আলোচনা, তার পর হুঁশিয়ারি। তাতেও কাজ না হওয়ায় পুরভোটে দলের ‘নির্দল কাঁটা’ সরাতে রবিবারও বহিষ্কার পর্ব চলল তৃণমূল কংগ্রেসে।
টিকিট না পেয়ে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধেই ‘নির্দল’ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে এ দিন শুধু উত্তর ২৪ পরগণায় ৬১ জনকে বহিষ্কার করেছেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। পূর্ব মেদিনীপুরেও দলের হুঁশিয়ারি না মানায় এগরায় চার জন বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীর মধ্যে দু’জনকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। বহিষ্কার করা হয়েছে হুগলির বেশ কয়েক জন ‘নির্দল’ প্রার্থীকে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যাঁরা ভাবছেন নির্বাচন মিটে গেলে আবার দলে ফিরে আসবেন, তাঁরা ভুল করছেন। দলের বিরোধিতা করে যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, দলে তাঁদের জায়গা হবে না।’’
উত্তর ২৪ পরগণায় ‘নির্দল’ সমস্যা সব থেকে বেশি। বহিষ্কৃতদের রয়েছেন মধ্যে বনগাঁ, বারাসত এবং টিটাগড় পুরসভায় রয়েছেন ৯ জন করে ২৭ জন বিক্ষুব্ধ। কামারহাটিতে ৮ ও অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভায় ৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবারই জেলায় ভোটের প্রচারে গিয়ে ‘নির্দল’ প্রার্থীদের চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছিলেন পার্থবাবু। তাতে কাজ না হওয়ায় এ দিন দলের তিন নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিক এবং রথীন ঘোষ যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছেন। শাস্তি থেকে রেহাই পাননি মন্ত্রী, নেতাদের ঘনিষ্ঠরাও।
হুগলিতেও একাধিক পুরসভায় এ দিনও ‘নির্দল’ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন দলীয় নেতৃত্ব। সে কথা না শোনায় ফের কয়েক জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘যাঁরা দলের প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁরা সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপিকে সাহায্য করছেন। দল তা বরদাস্ত করতে পারে না।’’
নির্দল হয়ে দলের প্রার্থীদের হারানোর চেষ্টা করলে শাস্তি পেতে হবে এ দিন প্রথমে জেলা দলের চেয়ারম্যান আবু তাহের খান বলেন, ‘‘সোমবার দুপুর ১টার পরে যাঁরা ‘নির্দল’ হিসেবে থেকে যাবেন, তাঁদের দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।’’ যদিও বেশি রাতে ওই জেলায় ১৭ জন নির্দলকে বহিষ্কার করেছে দল।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ৭টি পুরসভায় অবশ্য যে ১৭ জন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা-কর্মী অন্য দলের বা নির্দল প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের সবাইকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। তবে সকলেই ভোটযুদ্ধে রয়েছেন। ঝাড়গ্রামের তিনটি ওয়ার্ডেও প্রাক্তন কাউন্সিলাররা লড়ছেন নির্দল হয়ে। এর মধ্যে দু’জনকে তৃণমূল বহিষ্কার করেছে। ‘নির্দল কাঁটা’ রয়েছে পুরুলিয়াতেও। জেলা দলের ভারপ্রাপ্ত নেতা মলয় ঘটক এ দিন বলেন, ‘‘এখানে নির্দলদের ভাবার মতো পরিস্থিতি নেই।’’
এ দিকে ‘নির্দল’ প্রার্থীদের সম্পর্কে এ দিন শাসকদলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, ‘‘নির্দল প্রার্থী দেওয়ার পিছনে শাসক দলেরই হাত রয়েছে। ওই নির্দল প্রার্থীরা জিতলে গণনা কেন্দ্রেই তৃণমূলে যোগ দেবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy